মাঝ আকাশে ঘুমিয়ে পড়লেন উড়োজাহাজের দুই পাইলট - দৈনিকশিক্ষা

মাঝ আকাশে ঘুমিয়ে পড়লেন উড়োজাহাজের দুই পাইলট

নিজস্ব প্রতিবেদক |

মাঝ আকাশেই ঘুমিয়ে পড়েছেন উড়োজাহাজের দুই পাইলট। এমন বেঘোরে ঘুমিয়েছেন যে তাঁরা নির্দিষ্ট বিমানবন্দরে অবতরণ করতেই ভুলে গেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনসে। সুদানের খার্তুম থেকে ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটেছে।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, এভিয়েশন হেরাল্ডের তথ্য অনুযায়ী, এই ঘটনা ঘটেছে গত সোমবার। এভিয়েশন হেরাল্ড জানিয়েছে, ইটি৩৪৩ ফ্লাইটটি বিমানবন্দরের কাছে এসেও অবতরণ করেনি দেখে তাঁদের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) থেকে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। পাইলটরা যখন ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, তখন বোয়িং ৭৩৭-এর অটোপাইলট সিস্টেম উড়োজাহাজটিকে ৩৭ হাজার ফুট ওপরে স্থিতিশীল অবস্থায় (ক্রুজ) রেখেছিলেন। উড়োজাহাজটি পরবর্তী ফ্লাইটের জন্য ওড়ার আগে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বিমানবন্দরে অবস্থান করেছিল। 

এভিয়েশন হেরাল্ড আরও জানিয়েছে, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল কয়েকবার পাইলটদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে উড়োজাহাজটি অবতরণের রানওয়ে অতিক্রম করে উড়ে গেলে অটোপাইলট সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তখন সতর্কসংকেত বেজে ওঠে। ওই সংকেতে দুই পাইলট জেগে ওঠেন। এরপর নির্ধারিত সময়ের প্রায় ২৫ মিনিট পর রানওয়েতে উড়োজাহাজটি অবতরণ করতে সক্ষম হন তাঁরা। এতে কারও কোনো ক্ষতি হয়নি। 

এভিয়েশন সার্ভিল্যান্স সিস্টেম এডিএস-বি থেকে পাওয়া তথ্যেও এর সত্যতা পাওয়া গেছে। তাদের ওয়েবসাইটে উড়োজাহাজটির চলাচলের রুটের একটি ছবি প্রকাশ করেছে। এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ এলেক্স ম্যাচারসও এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে টুইট করেছেন। এ জন্য তিনি দুই পাইলটকে দায়ী করেছেন।

গত মে মাসেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। তখন দুই পাইলট যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে ইতালির রোমের ফ্লাইটে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ওই সময় উড়োজাহাজটি ৩৮ হাজার ফুট ওপরে ছিল।

বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে ঘটনাটির তদন্ত করা হয়েছিল। তদন্তকারীরা নিশ্চিত করেছেন যে আইটিএ এয়ারওয়েজের দুই পাইলটই তাঁদের এয়ারবাস ৩৩০ ফ্রান্সের আকাশসীমা দিয়ে যাওয়ার সময় ঘুমাচ্ছিলেন।

এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা - dainik shiksha শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0032150745391846