মাদক, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও র‌্যাগিং মুক্ত শিক্ষাঙ্গনের প্রত্যাশা - দৈনিকশিক্ষা

মাদক, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও র‌্যাগিং মুক্ত শিক্ষাঙ্গনের প্রত্যাশা

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও র‌্যাগিং নতুন নয়। অতীত সরকারের আমলে এগুলোর বিরুদ্ধে তেমন কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে এ সমস্ত ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি। বর্তমান ডিজিটাল সরকারের আমলে সব ঘটনাই অতিদ্রুত গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় এবং সরকার দলমত নির্বিশেষে এগুলো প্রতিরোধের ব্যবস্থা করছে। মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও র‌্যাগিং প্রতিরোধ করে শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে আজকের এ আলোচনা। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।

নিবন্ধে আরও জানা যায়, মাদক : মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব গাছের শেকড়ের মতো ছড়িয়ে আছে সমাজের গভীর থেকে গভীরে, যা উপড়ে ফেলা সহজ নয়। মাদকের কুফল থেকে মুক্তি পাওয়া বেশ কঠিন। শহর এলাকা ছাড়িয়ে মাদক এখন তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে গেছে। মাদক দ্রব্যের ভয়াবহতা নিয়ে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। শিক্ষাঙ্গনে মাদক বলতে বোঝায় ছাত্রছাত্রী কর্তৃক মদ, গাঁজা ইত্যাদি সেবন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অতি অল্প কিছু ছাত্রছাত্রী এগুলো সেবন করে। যার ফলে পুরো বিশ্ববিদ্যলয় হয়ে উঠে কলুষিত। সুশিক্ষা ও সচেতনতার পাশাপাশি শিক্ষাঙ্গনের শিক্ষক, কর্মকর্তা, ছাত্রছাত্রী ও কর্মচারী সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টাই পারে মাদক নামের এ প্রাণঘাতী ব্যাধি থেকে পরিত্রাণের পথ দেখাতে ও শিক্ষাঙ্গনকে মাদক মুক্ত করতে।

সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ : ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করার নামই সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ। বড় বড় রাজনৈতিক সন্ত্রাসের কথা আমরা সবাই জানি, যেমন- ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সন্ত্রাস, ১৯৮৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল কর্তৃক ছাত্রীদের ওপর হামলা, ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল (বাংলা ১৪০৮ সনের পহেলা বৈশাখে) রমনা বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা সন্ত্রাস, ২০০১ সনের ১ অক্টোবর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ওপর ধারাবাহিক ছয় মাসের সন্ত্রাস, যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠানে সন্ত্রাস, ২০০৪ সনের ২১ আগস্টের গ্রেনেড সন্ত্রাস, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশে একই সঙ্গে ৫০০ স্থানে সিরিজ বোমা সন্ত্রাস, ২০১৪ সনের ৫ জানুয়ারি থেকে ১০০ দিন পরিচালিত আগুন সন্ত্রাস ইত্যাদি। রাজনৈতিক সন্ত্রাসের আলোচনা না করে আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস। মানব জাতির বাঁচার মৌলিক অধিকারের মাঝে শিক্ষা একটি অন্যতম উপাদান। অথচ কোন কোন শিক্ষাঙ্গনে হত্যা, সন্ত্রাস, বোমাবাজির ঘটনা ঘটছে। কি যেন এক অশুভ শকুনের ক্ষুধার্ত চক্ষের রশ্মি ছায়া মাঝে মাঝেই ঝিলিক দেয় আমাদের শিক্ষাঙ্গনের ওপর। বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে শিক্ষার্থীরা মানুষ হতে আর ফিরে যায় কেউ কেউ লাশ হয়ে। ফলে শিক্ষার্থীদের মা-বাবা সন্তানদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে স্বস্তি পাচ্ছেন না। এ জাতীয় সমস্যা ঘুরপাক খাচ্ছে আজ মেধাবী ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাজীবীসহ সব মহলে। শিক্ষাঙ্গন বলতে আমরা বুঝি শিক্ষাদানের জন্য সৃষ্ট প্রতিষ্ঠান তথা স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদিকে। এ সমস্ত প্রতিষ্ঠানের নীতি ও আদর্শের ছায়াতলে লালিত হচ্ছে অসংখ্য জীবন স্বপ্ন। ত্রাস ও ভয় সৃষ্টির মাধ্যমে এক অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করাই সন্ত্রাসকারীদের মুখ্য উদ্দেশ্য। বর্তমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে যে ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চলছে তাকে পেশীশক্তির নব সংস্করণ বলা যেতে পারে। নম্রতা, জ্ঞান, বুদ্ধির বিকাশ, সহমর্মিতা, যুক্তি ও ন্যায় যেখানে ছাত্রদের চরিত্রকে উন্নত ও মহান করে তোলার পক্ষে কাজ করে সেখানে সন্ত্রাস একটি অভিশাপ। এ অভিশাপের শিকার ব্যধিগ্রস্ত মানুষের জীবনে এক ভয়াবহ পরিণতি সৃষ্টি করেছে। সাম্প্রতিককালে শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের প্রধান কারণ হলো ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, উসকানিমূলক বক্তৃতা, অসহনীয় মনোভাব, পেশীশক্তির ওপর নির্ভরশীলতা ইত্যাদি। সন্ত্রাস কারো কাম্য নয়, একে সমাজ জীবন থেকে নির্মূল করতে হবে। বৃহত্তর জাতির স্বার্থেই শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস থাকলে তা যেমন শিক্ষাঙ্গনকে অপবিত্র করে তেমনি মানুষ গড়ার আঙ্গিনায় সত্যিকারের মানুষের সুপ্ত প্রতিভাও চিত্ত বিকাশে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

র‌্যাগিং : র‌্যাগিং অর্থ পরিচিত হওয়া, তিরস্কার করা অথবা আবেগে কিছু করা ইত্যাদি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুরাতন শিক্ষার্থীদের একটা সখ্যতা গড়ে তোলার জন্য যে পরিচিতি সেটাকে র‌্যাগিং হিসেবে অভিহিত করা হয়। প্রথম দিকে এটা নির্দোষ জ্যেষ্ঠ ও কনিষ্ঠ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরির প্রথম ধাপ হিসেবে দেখা হতো। পরে দিন দিন র‌্যাগিংয়ের বিকৃতি হতে থাকে, বর্তমানে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য আসা কিংবা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর জন্য বিভীষিকায় রূপ নিয়েছে। আশির দশকে ভারতে, শ্রীলঙ্কায় এটা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানেও এর প্রচলন বাড়তে থাকে নব্বইয়ের দশকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ ছাত্রছাত্রীবৃন্দ সাধারণত তাদের কনিষ্ঠদের উপর র‌্যাগিং করে। ব্যাচের সব ছাত্রছাত্রী র‌্যাগিং করে না, শুধু নির্ধারিত এক বছরের জ্যেষ্ঠ কিছু ছাত্রছাত্রী এটি করে থাকে। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ম বছর ভর্তি হয় তারাই র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়। র‌্যাগিংয়ের বিভিন্ন ধরন রয়েছে; যেমন-পরিচয় দেয়া, গান গাওয়া, নাচা, কবিতা আবৃত্তি, রোদ্রে ক্যাম্পাসে দৌড়ানো, বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন, ইত্যাদি। র‌্যাগিং সাধারণত যৌথভাবে ঘটানো হয়ে থাকে। র‌্যাগিং শেষে অনেক সময় কনিষ্ঠদের জ্যেষ্ঠরা মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়ন করে থাকে।

র‌্যাগিংয়ের মাধ্যমে জ্যেষ্ঠদের সঙ্গে কনিষ্ঠদের সম্পর্ক ভালো হওয়ার কথা। পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের গাইডলাইনও জ্যেষ্ঠদের দেওয়ার কথা। মানুষের সঙ্গে কথা বলা, চাল-চলন, উঠা-বসার পদ্ধতি র‌্যাগিংয়ের মাধ্যমেই শিখানো হয়। র‌্যাগিং এর ভালো দিক থাকলেও বর্তমানে এটি নোংরামিতে ভরা; যেমন- অশ্লীল কথাবার্তা বলা, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গী প্রদর্শন করা, ইত্যাদি। সবার র‌্যাগিং সহ্য করার ক্ষমতা এক রকম নয়। র‌্যাগিং এ শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। সবার সঙ্গে লাঞ্ছনার শিকার হতে হয় কনিষ্ঠদের। তাদের প্রাথমিক জীবনে নেমে আসে দুর্বিষহ অন্ধকার। এজন্য র‌্যাগিং তাদের কাছে আতঙ্ক হিসেবে মনে হয়। র‌্যাগিং প্রমাণিত হলে র‌্যাগারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া দরকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং এর কারণে ছাত্রছাত্রী বহিষ্কারের ঘটনা ঘটে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকারের উচিত ইভটিজিংয়ের মতো র‌্যাগিং এবং র‌্যাগারদের জিরো টলারেন্স বিবেচনা করে প্রতিরোধ করা। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অসভ্য র‌্যাগিং বন্ধ হয়ে গেলে খুন-খারাবি, হত্যা, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ কার্যক্রম অনেকটা হ্রাস পেয়ে শিক্ষার পরিবেশ তৈরি হবে।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রেক্ষাপট : অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও র‌্যাগিং অনেক কম। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণায় ২০০১ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ কৃষি ইনস্টিটিউটই আজকের শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই সৃষ্টি হয়েছে বড় নীতিনির্ধারক, রাজনৈতিক নেতৃত্ব, শিক্ষাবিদ ও গবেষক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতেও রয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কৃতী ছাত্র যেমন: বর্তমান ডিএমপি কমিশনার কৃষিবিদ শফিকুল ইসলাম এবং অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক কৃষিবিদ মীর শহীদুল ইসলাম বিপিএম। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা দেশ সেবার ব্রত নিয়ে লেখাপড়া করে থাকে। তবুও এখানে অতি অল্প কিছু মাদকের ব্যবহার থাকতে পারে, কদাচিৎ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে এবং বছরের শুরুতে কিছু র‌্যাগিং হয়ে থাকতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নজরদারিতে এগুলোর ব্যপকতা এখানে কখনই সৃষ্টি হয়নি। এ বছরের শুরুতে ফেব্রুয়ারিতে র‌্যাগিংয়ের খবর পেয়ে প্রশাসন একটি ছাত্র হলে উপস্থিত হলে এক বছরের জ্যেষ্ঠ একদল ছাত্রকে দেখা যায় নতুন একদল ছাত্রকে লাইনে দাঁড় করিয়ে আচরণমূলক কার্যাদি শিক্ষাদানে ব্যস্ত। প্রশাসনের হস্তক্ষেপের কারণে ওই দিনের পর থেকে এখানে আর র‌্যাগিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি বা কেউ কোন অভিযোগ করেনি। কম বেশি যাই হোক মাদক, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও র‌্যাগিং চিরতরে নির্মূল করতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, ছাত্রছাত্রীরা আজ বদ্ধপরিকর। গত কয়েক বৎসর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সভা-সমাবেশ, র‌্যালিসহ বিভিন্ন প্রচার প্রচারণা করা হয়েছে।

করণীয় : মাদক, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও র‌্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে সরকার তথা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষকমণ্ডলী, অভিভাবকসহ সব স্তরের জনতাকে গভীরভাবে ভাবতে হবে। কোন ছাত্রসংগঠন বা ছাত্রনেতার একক কারণে পুরো প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নষ্ট হতে পারে না। কয়েকজনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সব শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে না। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ মাদক, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও র‌্যাগিং দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যৌথ উদ্যোগে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়কে এগুলো থেকে মুক্ত করতে নিম্নোক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে :

নতুন ছাত্রছাত্রী ভর্তির আগে বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে মাদক, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও নির্যাতনমূলক র‌্যাগিংয়ের ক্ষতিকর দিকসমূহ তুলে ধরার জন্য সমাবেশ করা।

নতুন ছাত্রছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শুরুর আগের দিন সকাল বেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে, বিকাল বেলা স্ব-স্ব ফ্যাকাল্টির পক্ষ থেকে এবং সন্ধ্যা বেলা হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওরিয়েন্টেশন ও নবীনবরণের ব্যবস্থা করা।

ক্লাস শুরুর প্রথম দুই সপ্তাহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমোদন সাপেক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্যারিয়ার গঠনমূলক ও রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলোর ওরিয়েন্টেশন ও নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।

তৃতীয় সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক সাংস্কৃতিক প্রতিভা অনুসন্ধানবিষয়ক অনুষ্ঠান আয়োজন করা ও সেরাদেরকে পুরস্কৃত করা।

চতুর্থ সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কর্তৃক ক্রীড়া প্রতিভা অনুসন্ধান বিষয়ক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা ও সেরাদেরকে পুরস্কৃত করা।

সন্ত্রাস রোধ করতে সবাইকে আন্তরিক ও নিরপেক্ষ থেকে ক্ষমতাসীন সরকারের সঙ্গে ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আন্তরিকভাবে খোলাখুলি আলোচনা করে সন্ত্রাসের কারণ চিহ্নিত করে তা প্রতিকারের শপথ গ্রহণ করা।

শিক্ষাঙ্গনে মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও র‌্যাগিং বন্ধে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকেই সর্বদা সজাগ থাকা এবং প্রয়োজনে গোয়েন্দাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

মাদকসেবী, সন্ত্রাসী, র‌্যাগার যেই হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা ও জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা

হল প্রশাসনের জনবল বৃদ্ধি করা ও নিয়মিত হলে অবস্থান করে তদারকী করা।

নতুন ছাত্রছাত্রীদের সকল সুবিধা অসুবিধার বিষয়গুলো জানা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রথম বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের প্রতি ২৫ জন ছাত্রছাত্রীর জন্য দুজন শিক্ষককে মেন্টর হিসেবে নিয়োগ দেয়া।

এম এস পাসের এক মাসের মধ্যে হলের সিট বাতিল করা।

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সিট বরাদ্দের স্বার্থে প্রতিটি হলের ছাত্রছাত্রীদের ডাটাবেজ তৈরি করা।

বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত বস্তি নির্মূল করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নতুন কোন জায়গা বরাদ্দ না দেয়া ও ভাড়াটিয়া মুক্ত করা

বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মাদকের ব্যবসা ও ব্যবহার সম্পূর্ণ নির্মূল করা।

উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আশাকরি আজকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, শ্রমিক ও ছাত্রছাত্রীদের শপথ হোক আমরা গড়ব- মাদক, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও র‌্যাগিং মুক্ত শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রফেসর ড. মো. সেকেন্দার আলী : প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটে প্রথম লামিয়া - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটে প্রথম লামিয়া প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াবে কাল - dainik shiksha ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াবে কাল চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন - dainik shiksha চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0037181377410889