খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে একটি মাদরাসার ভবন নির্মাণকাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তা ছাড়া ভবনের নিচের অংশে বালু ভরাটের কথা থাকলেও ব্যবহার করা হয়েছে নরম মাটি। এতে পুরো ভবনটিই হয়ে উঠেছে ঝুঁকিপূর্ণ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে দুই কোটি ৯৭ লাখ টাকা নির্মাণ ব্যয় ধরে উপজেলার রসিকনগর দাখিল মাদরাসার চারতলা ভবন নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়। কাজটি পায় চট্টগ্রামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোহাম্মদ ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স প্রাথমিক লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির হয়ে কাজটি করছেন দীঘিনালার আরেক ঠিকাদার আ. কাইয়ুম। কাজের সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একজন প্রকৌশলী উপস্থিত থাকার বিধান থাকলেও এখানে তার ব্যত্যয় ঘটেছে। ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের উপকরণ। ভবনের নিচের অংশে বালু ভরাটের বদলে ব্যবহার করা হয়েছে নরম মাটি। আর এ অবস্থাতেই দ্বিতীয় তলার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
গত ২৪ জানুয়ারি জেলা পরিষদের মাসিক সভায় এ ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপিত হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করেন। তদন্তে তিনি ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন বলেও জানান।
এ বিষয়ে কাজের দায়িত্বে থাকা আ. কাইয়ুম ভবনের নিচের অংশ মাটি দিয়ে ভরাটের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে মাটি তুলে ফেলে বালু দিয়ে ভরাট করে দেওয়া হবে।’শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী রজনী কুমার চাকমা বলেন, ‘এ ব্যাপারে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঢালাইয়ে সংমিশ্রণের অভিযোগের বিষয়টি ল্যাব টেস্টের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, ‘সরেজমিন তদন্তের সময় স্থানীয় লোকজন ও নির্মাণ শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের অনেক বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে। বাকিটা ল্যাব টেস্টের পর জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’