জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার কৃষ্ণনগর দাখিল মাদরাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচনে দুই প্রার্থীর সমর্থদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর ভোটারদের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির ঝুঁকি থাকায় নির্বাচন স্থগিত করেছেন ক্ষেতলাল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসার শফিউল্লাহ সরকার।
বুধবার দুপুরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এতে ৯ জন সদস্যের মধ্যে মোট ৮ জন সদস্য তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোট চলাকালীন দুই সভাপতি প্রার্থী আনোয়ার হোসেন ও বোরহান উদ্দীনের সমর্থকদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও এক পর্যায়ে শিক্ষা অফিসের সামনেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সভাপতি প্রার্থী বোরহান উদ্দীনের ছেলে মাসুদ রানা (জাহাঙ্গীর) আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। পরে ভোট গ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
সভাপতি প্রার্থী ও বড়তারা ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দীন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কৃষ্ণনগর দাখিল মাদরাসার সভাপতি নির্বাচনে আমার বিজয় নিশ্চিত বুঝতে পেরে ভোটগ্রহণ চলাকালে বহিরাগত কিছু ছেলেরা আমার ছেলে মাসুদ রানাকে মেরে আহত করে। এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে বর্তমান সভাপতি ও প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার ছফিউল্লাহ সরকার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সভাপতি পদে দুই প্রার্থীর মধ্যে হট্টগোল সৃষ্টি হওয়ায় কমিটির সভাপতি নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
ক্ষেতলাল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল হক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচন নিয়ে মারামারির বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।