মাদরাসায় অনিয়ম : সভাপতি-সুপারের অপসারণ চান কমিটির ৬ সদস্য | মাদরাসা নিউজ

মাদরাসায় অনিয়ম : সভাপতি-সুপারের অপসারণ চান কমিটির ৬ সদস্য

নেত্রকোনার মদনে বালালী বাঘমারা খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক দাখিল মাদরাসায় নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে সভাপতি ও সুপারের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির ৬ সদস্য। বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে তারা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি মাদরাসার শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্ত

নেত্রকোনার মদনে বালালী বাঘমারা খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক দাখিল মাদরাসায় নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে সভাপতি ও সুপারের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির ৬ সদস্য। বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে তারা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি মাদরাসার শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

অভিযোগে জানা যায়, ওই মাদরাসার সভাপতি আরজু মিয়া সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই সুপার বজলুর রহমানের সাথে আতাত করে  প্রতিষ্ঠান বিরোধী  কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছেন। সভাপতি ও সুপারের যোগসাজশে মাদরাসার সম্পদ আত্মসাৎ করেছেন ও পুরাতন আসবাবপত্র বিক্রি করে ২লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আয়া ,নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগেও বিপুল পরিমান টাকা নিয়োগ বাণিজ্য করে হাতিয়ে নিয়েছেন তারা। সভাপতিকে ম্যানেজ করে সুপার দিনের পর দিন মাদরাসায় অনুপস্থিত থেকে নিয়মিত বেতন ভাতা নিচ্ছেন। সুপার মাদরাসার কোন নিয়মের তোয়াক্কা করেন না। এতে মাদরাসার শিক্ষার মান দিন দিন অধঃপতনের দিকে যাচ্ছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেছেন। কমিটির ৬ সদস্য সভাপতি ও সুপারের কার্যকলাপের বিষয়টি সরজমিনে তদন্তের দাবি জানিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। 

এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার সকালে ওই মাদরাসায় গেলে সুপারকে পাওয়া যায়নি। এ সময় মাদরাসায় শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। বার্ষিক পরীক্ষার দিনও সুপার অনুপস্থিত ছিলেন। 
 
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, সুপার নিয়মিত আসেন না। বার্ষিক পরীক্ষা থাকলেও তিনি আসেননি। 

এ দিন দুপুরে মদন পৌর সদরে সুপারকে পারিবারিক কাজ করতে দেখা যায়। এসময় অভিযোগের বিষয়ে জানতে সুপার বজলুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘ঘর বিক্রির যে টাকা এসেছে তা আমি মাদরাসার খাতেই ব্যয় করেছি। তবে নিয়োগ বাণিজ্যের নামে যে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে তা মিথ্যা বানোয়াট। আমারা তাদেরকে সাথে নিয়েই নিয়োগ দিয়েছি। আমি নিয়মিত মাদরাসায় যাচ্ছি। এসব অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রণোদিত।’ 

বার্ষিক পরীক্ষা শুরুর দিন কেন মাদরাসায় যাননি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।’ 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মাদরাসার সভাপতি মো. আরজু মিয়া দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আয়া,নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের ব্যাপারে কোনো টাকা নেওয়া হয়নি। মাদরাসার ঘর বিক্রি মূলত ইউএনও স্যার করেছেন, তবে যে টাকা এসেছে তা সুপার বিভিন্ন খাতে ব্যয় করেছেন। কমিটির সবাই বসে হিসাব নেওয়া হোক। 

তিনি আরও বলেন, ‘সুপার মাদরাসায় নিয়মিত আসেন।’

এ বিষয়ে উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার জোৎস্না বেগম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন,  ইউএনও স্যার মাদ্রাসার সভাপতি সুপারেরর বিরুদ্ধের অভিযোগটি তদন্তের জন্য দিয়েছেন। দ্রুত তদন্ত করে প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠাবো। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বুলবুল আহমেদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, অভিযোগটি পেয়েছি। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসকে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।