উপজেলার আফতার উদ্দিন দাখিল মাদরাসায় খেলার মাঠে ৩৩ কেভি ভোল্টের বিদ্যুতের খুঁটি রেখে ঝুঁকি নিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদানসহ খেলাধুলা কার্যক্রম। এতে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ খুঁটি সরানোর জন্য নির্ধারিত ফিসহ আবেদন করলেও আমলে নিচ্ছে না বিদ্যুত বিভাগের কর্মকর্তারা।
জানা যায়, মাদরাসাটি প্রথমে ক্যাডেট মাদরাসা হিসেবে চালু হয়। পরবর্তীতে সেটি দাখিল মাদরাসা হিসেবে সরকারের অনুমোদন লাভ করে। বর্তমানে ওই মাদরাসায় ৪শ’ ৫০ শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহণ করছে। মাদরাসা মাঠে বিদ্যুতের খুঁটি নিয়ে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। কখন খেলাধুলার ছলে নিচ দিয়ে চলে যাওয়া তারের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দুর্ঘটনা ঘটে যায় এ নিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয়। এছাড়াও মাদ্রাসায় ওয়াজ মাহফিল বা বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্যান্ডেল তৈরি করতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
মাদরাসার একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, এই খুঁটির জন্য তারা মাঠে ফুটবল ও ভলিবল খেলতে পারে না। মাদরাসার সুপার মাওলানা আব্দুস সাত্তার বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতের খুঁটি মাঠের একপাশে নেয়ার জন্য নান্দাইল পল্লী বিদ্যুত অফিসে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে ১ হাজার টাকা ফি জমা দিয়ে আবেদন করেছি। আবেদনের প্রেক্ষিতে কয়েকবার মাদরাসা মাঠে বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন পরিদর্শন করে গেলেও এখন পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটি সরানো হয়নি।
এর মধ্যে নান্দাইল পল্লী বিদ্যুত অফিস থেকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে ২ লাখ ৯৪ হাজার টাকা জমা করলে ওই খুঁটি সরানো সম্ভব হবে। এই বিষয়ে কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত সমিতির নান্দাইল জোনাল অফিসের উপসহকারী ব্যবস্থাপক (ডিজিএম) উত্তম কুমার সাহা বলেন, মাদরাসা কর্তৃপক্ষ কোথায় আবেদন করেছেন বা টাকা জমা দিয়েছেন তা আমার জানা নেই। তবে মাদরাসার পক্ষ থেকে কাগজপত্র নিয়ে যোগাযোগ করলে আমরা বিষয়টা দেখব। তবে খুঁটি সরানোর জন্য ২ লাখ ৯৪ হাজার টাকা জমা করতেই হবে। বিনা টাকায় খুঁটি সরানো সম্ভব নয়।