মাদরাসা শিক্ষার আধুনিকায়নে জেনারেল শিক্ষকদের অবদানকে অস্বীকার করা যাবে না। সকল মাদরাসা পরিচালনায় প্রধানরা যাদের সহযোগিতা পেয়ে থাকেন তাদের সিংহভাগ জেনারল শিক্ষিত। মাদরাসা থেকে পাস করা অনেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জন করে আবার মাদরাসায় শিক্ষকতা করছেন। পাঠদান বা বিষয়টাই শুধু ভিন্ন, যোগ্যতায় কিন্তু সমান, আবার অনেকাংশে উচ্চতর । তাই কাম্য যোগ্যতা যদি থকে, তাহলে কেন প্রশাসনিক পদে নিয়োগ দেয়া যাবে না?
আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষের যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে – উপাধ্যক্ষ/সহকারী অধ্যাপক পদে ৩ বছরের অভিজ্ঞতাসহ প্রভাষক হিসেবে (আরবি বিষয়সমূহে) মোট ১২ বছর শিক্ষকতা অভিজ্ঞতা। অথবা দাখিল মাদরাসার সুপার হিসেবে ৫ বছরের অভিজ্ঞতাসহ (আরবি বিষয়সমূহে) ১৫ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা।
মাদরাসায় জেনারেল প্রভাষকরা অনেকাংশেই উচ্চতর শিক্ষিত, প্রায় সকলেই অনার্স-মাস্টার্স সম্পন্ন। অন্যদিকে আরবী প্রভাষক (২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের পূর্বে) শুধু কামিল ডিগ্রি সম্পন্ন। তাই আরবী বিষয়সমূহের শর্তারোপ করে অধিক যোগ্য, অধিক অভিজ্ঞ ও অধিক শিক্ষিত হওয়ার পরও জেনারেল প্রভাষকদের অধ্যক্ষ পদে অযোগ্য করে রাখা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাক্ষেত্রের আধুনিকায়নে একটি অশনি সংকেত।
অথচ ইতোপূর্বের কোনো নীতিমালায় এই শর্তটি ছিল না। ওই নীতিমালায় ছিল প্রভাষক/সহকারী অধ্যাপক। ফলে সকলের আবেদনের সমান সুযোগ ছিল। বিষয়েরও কোনো শর্ত ছিল না।
তাই আমরা অনুরোধ করবো, কাম্যযোগ্যতা সম্পন্ন মাদরাসার জেনারেল প্রভাষকদেরও প্রশাসনিক পদে নিয়োগের নীতিমালায় সংস্কার চাই।
লেখক : আব্দুল্লাহ, প্রভাষক, সাতদরগাহ বালিকা আলিম মাদরাসা, উলিপুর, কুড়িগ্রাম।
[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন।]