চিকিৎসার নামে ৯ম শ্রেনীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের পর স্বামীর ঘরে গিয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ঘর ভাঙে নববধূ ঐ মেয়েটির। এ ঘটনায় মেয়েটি থানায় মামলা করলে ঐ ভন্ড ফকিরের চিকিৎসার নামে লম্পটের ভয়াবহ সব কাহিনী বের হয়ে আসে। বুধবার পুলিশ লম্পট তাজেল মুন্সীকে গ্রেফতার করায় এলাকাবাসী তার ফাঁসি দাবি করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি মামলা হয়েছে। অভিযোগে জানা গেছে, শিবচর উপজেলার শিরুয়াইল ইউনিয়নের সাদেকাবাদ গ্রামের উৎরাইল দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেনীর এক ছাত্রী অনেক দিন ধরে পেটের ব্যথায় ভুগছিল। এ অবস্থায় তার মা লোকমুখে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের তাজেল মুন্সী (৫৫) নামের এক ফকিরের কথা জানতে পারে। ৫ মাস আগে মেয়েকে নিয়ে তার মা দত্তপাড়া ইউনিয়নের মগরা পুকুরপাড় গ্রামের কথিত ফকির তাজেল মুন্সির কাছে যায়। তাজেল মুন্সি প্রথম দিন মেয়েটিকে চিকিৎসা হিসেবে পানি পড়া দেয়। পরবর্তী চিকিৎসার জন্য সপ্তাহখানেক পরে তাদের বাড়িতে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদেরকে বিদায় করে। এর কয়েকদিন পরে তাজেল সাদেকাবাদ গ্রামে মেয়েটির বাড়ি যায়। সেখানে গিয়ে পেটে মালিশ করার জন্য তেল পড়া দেয়। ঐ বাড়িতে দীর্ঘ সময় অবস্থান করে মেয়েটির মা থাকায় সুযোগ না পেয়ে তাজেল ফিরে যায়। এর কয়েকদিন পর আবারও তাজেল চিকিৎসার নামে ঐ বাড়িতে যায়। মেয়েটির ভাই বিদেশ থেকে মোবাইলে ফোন করায় তার মা মোবাইল নিয়ে ঘরের বাইরে চলে যায়। এই সুযোগে ফকির তাজেল মেয়েটির গায়ে নিজ হাতে তেল মালিশ করার কথা বলে। মেয়েটি অনিচ্ছা প্রকাশ করলে কথিত ফকির তাজেল তাকে ভয় দেখায় যে এটা না করলে তার অনেক বড় ক্ষতি হবে। বাধ্য হয়ে মেয়েটি তাকে নিজের শরীরে তেল মালিশ করতে দেয়। মালিশের এক পর্যায়ে তাজেল তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। মেয়েটি বাঁধা দিলে সে বলে এটাই তোর চিকিৎসা। এ কথা কাউকে বললে তোর ও তোর পারিবারের অনেক বড় ক্ষতি হবে। আর আমি নিজে ইচ্ছা করলে যে কোন সময় যে কাউকে ধ্বংস করে দিতে পারি। তাই এ কথা কাউকে বলা যাবে না বলে সে ঐ বাড়ি থেকে চলে যায়। লজ্জা ও ভয়ে মেয়েটি এ ঘটনা তার পারিবারের কাউকে বলেনি।
মাদারীপুরে চিকিৎসার নামে ভন্ড ফকিরের কান্ড
মাদারীপুর প্রতিনিধি |