মানহীন বিএড কলেজের সনদ নিয়ে বিপাকে শিক্ষকরা - দৈনিকশিক্ষা

মানহীন বিএড কলেজের সনদ নিয়ে বিপাকে শিক্ষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কলেজ, শেরে বাংলা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, গোপালগঞ্জের সাবেরা-রউফ কলেজ ও সাভার টিচার্স ট্রেনিং কলেজসহ কয়েকটি মানহীন কলেজের বিরুদ্ধে বেতন না দেয়াসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগীরা দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, এসব কলেজে নেই কোনো বেতন-ভাতা ও শিক্ষার পরিবেশ। এসব কলেজ থেকে বিএড সনদ নিয়ে বিপাকে রয়েছেন শিক্ষকরা। স্কেল না পাওয়ায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এসব কলেজের মালিক ও প্রতিষ্ঠাতাদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীরা জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মচারীর যোগসাজশে চলছে এসব মানহীন কলেজ।  

সনদ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেক বিএড স্কেলপ্রত্যাশী। মানহীন কলেজের সেই সহজলভ্য সনদ এখন শুধুই এক টুকরা কাগজ। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক ও জেলা শিক্ষা অফিসাররা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ওইসব অবৈধ বিএড কলেজের সনদে স্কেল পাওয়া যাবে না। 

শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র প্রিন্ট পত্রিকা দৈনিক আমাদের বার্তার অনুসন্ধানে জানা যায়, জনৈক নজরুল ইসলাম যিনি নিজেকে ডক্টরও দাবি করেন, তিনি একটা দোকান খুলেছেন রাজধানীর ধানমন্ডিতে। আরেকটা খুলেছেন সাভারে।  ভর্তিচ্ছুকদের ভুল বুঝিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ নজরুলের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কয়েকজন অস্থায়ীভিত্তিতে নিয়োগ করা কর্মচারীকে সনদ দিয়েছেন। ওইসব সনদ নিয়ে বিপদে রয়েছেন অধিদপ্তরের সেই কর্মচারীরাও। কিন্তু নজরুল নতুন ভর্তিচ্ছু সাধারণ শিক্ষকদের বলে বেড়াচ্ছেন তার কলেজ থেকে সনদ নিয়েছেন অমুক-তমুক। কদিন পর পর কথিত সাংবাদিক সম্মেলন করে এমপিওর দাবি করেন।  

হাবিবুর রহমান (ছদ্মনাম) নামের খুলনার একজন শিক্ষক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানিয়েছেন, ঢাকার মৌচাক এলাকার একটি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ  থেকে মাত্র ত্রিশ হাজার টাকায় একটা বিএড সনদ নিয়েছিলেন। তাদের জমকালো পোস্টার ও ব্যানার এবং ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেখে প্রলুব্ধ হয়েছিলেন। কিন্তু খুলন ডিডি অফিস সাফ জানিয়েছে দিয়েছে ওই সনদে স্কেল হবে না। হাবিবুরের মতো শত শত ভুক্তভোগী রয়েছে। তারা একবার ঠকে মুখ বুজে আবার ভালো কলেজে ভর্তি হয়ে সনদ নিয়েছেন। 

রফিকুল ইসলাম নামের একজন শিক্ষক নতুন ভর্তিচ্ছুদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, অবশ্যই ফেসবুক বা পোস্টারের বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ না হয়ে কলেজের সর্বশেষ স্ট্যাটাস সম্পর্কে ভালোভাবে  জেনে তবেই ভর্তি হওয়া উচিত।  

শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0030331611633301