মাসুদ রানার স্রষ্টা, দেশের রহস্য-রোমাঞ্চ সাহিত্যের পথিকৃৎ, প্রকাশনার সফল উদ্যোক্তা কাজী আনোয়ার হোসেনকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে। বুধবার ৮৫ বছর বয়সে ইন্তেকালের পর আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বনানীর কবরস্থানে মা সাজেদা খাতুনের কবরে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
করোনা সংক্রমণের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত উপস্থিতি এবং সংক্ষিপ্তভাবে সম্পন্ন করা হয় তার অন্তিম বিদায় পালা। কাজী আনোয়ার হোসেনের শেষ ইচ্ছা ছিল মার কবরেই থাকবেন তিনি। এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে বারডেমের হিমঘর থেকে তার মরদেহ ২৪/৪ কাজী মোতাহার হোসেন সড়কের বাড়িতে নেওয়া হয়।
বাদ জোহর সেগুনবাগিচার কাঁচাবাজার মসজিদে কাজী আনোয়ার হোসেনের জানাজার নামাজ আদায় করা হয়। এরপর শববাহী গাড়ি যাত্রা করে বনানী গোরস্থানে। সেখানে বেলা তিনটায় তাকে মায়ের কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
কাজী আনোয়ার হোসেন প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। গত প্রায় তিন মাস থেকে চিকিৎসার ভেতরেই ছিলেন। গত ১০ জানুয়ারি থেকে বারডেম হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। বুধবার বিকেল সাড়ে চারটায় তিনি অন্তিম শ্বাস ত্যাগ করেন। তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন ২০১৫ সালে এবং মেয়ে শাহরিন সোনিয়া ২০১৪ সালে ইন্তেকাল করেন। দুই ছেলে কাজী শাহনূর হোসেন ও কাজী মায়মূর হোসেনসহ আত্মীয়স্বজন আর দেশ-বিদেশে অসংখ্য গুণমুগ্ধ পাঠককে শোকাচ্ছন্ন করে গেলেন মাসুদ রানা ও কুয়াশার স্রষ্টা, সেবা প্রকাশনীর প্রতিষ্ঠাতা কাজী আনোয়ার হোসেন।