চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চুয়েট ছাত্রলীগের নেতারা।
ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মনীষী রায়ের অভিযোগ বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) চুয়েট ছাত্র সংসদের পাশের একটি কক্ষে তিনি মারধরের শিকার হন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার চুয়েটে ছাত্র ইউনিয়নের সম্মেলন। এক সপ্তাহ আগে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আমাদের ডেকে নিয়ে বলে, চুয়েট ক্যাম্পাসে কোনো সম্মেলন করতে দেওয়া হবে না। এমনকি ক্যাম্পাসে ব্যানার-পোস্টার লাগাতেও নিষেধ করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, দুপুরে সম্মেলনের পোস্টার লাগানোর সময় তারা বাধা দেয়। পরে ছাত্র সংসদের পাশের একটি কক্ষে ডেকে নেয়। সেখানে ছাত্রলীগ সভাপতি সৈয়দ ইমাম বাকেরের অনুসারী অতনু মুখার্জির নেতৃত্বে লাঠি ও ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে আমার ওপর হামলা চালানো হয়। মাথায়, হাঁটুতে এবং পিঠে আঘাত পেয়েছি। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি।
সম্মেলন আয়োজনের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রশাসনের অনুমতি নিয়েছি। ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা চত্বরে আমরা সম্মেলন করব।
এদিকে হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে অতনু মুখার্জি বলেন, এরকম কিছু হয়েছে কি না জানি না। আমি ক্লাসে ছিলাম।
ছাত্রলীগ সভাপতি সৈয়দ ইমাম বাকের বলেন, আমি এখন কক্সবাজারে। এরকম কোনো ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। ছাত্র ইউনিয়ন সম্মেলনের দাওয়াত দিতে ফোন করেছিল। আমরা যাব তো। তারা সম্মেলন করবে, কোনো সমস্যা নেই। গতকালও ক্যাম্পাসে তাদের সাথে কথা হয়েছে।
বাকের বলেন, আসলে তারা সম্মেলন করার মত লোকজন পাচ্ছে না। আমাদের কিছু ছেলেকে ডেকেছিল। এখন আলোচনায় আসার জন্য এসব অভিযোগ করছে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক মোহাম্মদ মশিউল হক বলেছেন, ঘটনার বিষয়ে তিনি অবগত নন।