মুক্তিপণের টাকা দিয়ে ২২ জেলে ফিরলেও মাঝিকে সাগরে নিক্ষেপ - দৈনিকশিক্ষা

মুক্তিপণের টাকা দিয়ে ২২ জেলে ফিরলেও মাঝিকে সাগরে নিক্ষেপ

বরগুনা প্রতিনিধি |

বঙ্গোপসাগরে ট্রলারসহ ২৩ জেলেকে অহপরণের দুই দিন পর মুক্তিপণ দিয়ে ২২ জেলে ফিরলেও ওই ট্রলারের মাঝি আনোয়ার হোসেনের জীবন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসা জেলেরা বলছেন, মাঝি আনোয়ারকে সাগরে নিক্ষেপ করেছে দস্যুরা।

গত শনিবার ভোর রাত চারটার দিকে গভীর বঙ্গোপসাগরে সাইফুল ইসলাম-৩ নামে একটি মাছধরা ট্রলারসহ ২৩ জেলেকে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করে জলদস্যুরা। ট্রলার মালিক ও জেলেদের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলায়। ওই ট্রলারের মধ্যে আবুল কালাম, মো. সবুজ, জাকির, মো. জাহের, বশিরসহ ২২ জন ফিরে আসলেও মাঝি আনোয়ার হোসেনের জীবন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে বলে জানান জেলে ও ট্রলার মালিক।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, লক্ষ্মীপুর এলাকার ট্রলার মালিক মাহফুজ মিয়ার ট্রলার এফবি সাইফুল-৩ এ ২৩ জেলে বঙ্গোপসাগরের গভীরে মাছ শিকার করছিল। রাত ৩টার দিকে ১০ থেকে ১২ জনের একটি সশস্ত্র জলদস্যু বাহিনী মুক্তিপণের দাবিতে জেলেদের অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে শনিবার দুপুর ১টার দিকে ট্রলার মালিকের কাছে মোবাইল ফোনে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। 

এ বিষয়ে ট্রলার মালিক মাহফুজ মিয়া দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, দস্যুরা মোবাইল করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণের পর থেকেই বারবার আমার কাছে মুক্তিপণের টাকা দাবি করে আসছিল দস্যুরা। পরে মুক্তিপণের টাকা দেয়ার পর ট্রলারসহ ২২ জেলেকে ফেরত পাঠালেও মাঝি আনোয়াকে সাগরে ফেলে দেয় দস্যুরা। দস্যুরা চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর ওই এলাকায় তল্লাশি করেও আনোয়ারকে না পেয়ে চলে আসে জেলেরা। এখন পর্যন্ত আনোয়ারের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

কোস্টগার্ড পাথরঘাটা স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট হারুনর রশীদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, অপহৃত জেলেরা ফিরে আসার পর আমাদের জানায় মাঝিকে তারা সাগরে ফেলে দিয়েছে। ওই জেলেকে উদ্ধারের জন্য সাগরে টহল চলছে।

নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ - dainik shiksha বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি - dainik shiksha যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি - dainik shiksha তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই - dainik shiksha শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী - dainik shiksha বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0036721229553223