মুজিববর্ষেই এডহক নিয়োগের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেবেন সরকারিকৃত শিক্ষকরা | কলেজ নিউজ

মুজিববর্ষেই এডহক নিয়োগের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেবেন সরকারিকৃত শিক্ষকরা

মুজিববর্ষের মধ্যেই সব শিক্ষক-কর্মচারীদের এডহক নিয়োগ ও পদসৃজনের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদ। এই দুই দাবিতে আগামী ২৩ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট সংসদীয় এলাকার সংসদ সদস্যদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে বরাবর স্মারকলিপি দেয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতারা। শুক্রবার

মুজিববর্ষের মধ্যেই সব শিক্ষক-কর্মচারীদের এডহক নিয়োগ ও পদসৃজনের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদ। এই দুই দাবিতে আগামী ২৩ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট সংসদীয় এলাকার সংসদ সদস্যদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে বরাবর স্মারকলিপি দেয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতারা। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পল্টনের সিপিবি কার্যালয়ের মুক্তি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত পরিষদের  সভায়  এ ঘোষণা দেন তারা। 

মুজিববর্ষেই এডহক নিয়োগের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেবেন সরকারিকৃত শিক্ষকরা
পল্টনে সিপিবি কার্যালয়ের মুক্তি মিলনায়তনে পরিষদের সভায় শিক্ষক নেতারা। ছবি: নিজস্ব

সংগঠনের সভাপতি কেএম দেলোয়ার হোসেনের  সভাপতিত্বে  ও  সাধারণ সস্পাদক ফারুক হোসেন মৃধার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তারা প্রতিষ্ঠানের কর্মরত সব শিক্ষক কর্মচারীদের এডহক নিয়োগের  দাবি জানান। তাঁরা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতিকে সরকারি কলেজবিহীন প্রতিটি উপজেলায় একটি  সরকারি কলেজ উপহার দিয়েছেন। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও  'নো বিসিএস নো ক্যাডার' ব্যানার বানিয়ে মিছিল করা কতিপয় প্রতিহিংসাপরায়ন কর্মকর্তাদের আত্তীকরণের কাজের দায়িত্ব দেয়ায় শিক্ষক কর্মচারীদের পদসৃজন ও আত্তীকরণের কাজ আটকে রয়েছে। এছাড়াও পদসৃজনের কাজে তাদের অযাচিত ‘নোট’ ও ‘মন্তব্য’ করার কারণে অসংখ্য শিক্ষকের সরকারিকরণের পথ রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। এভাবেই তারা বছরের পর বছর ধরে আটকে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা--সরকারি কলেজবিহীন উপজেলা সদরে একটি করে কলেজ সরকারিকরণ। শিক্ষা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে থাকা প্রতিহিংসাপরায়ন শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের ষড়যন্ত্রেই সরকারিকৃত তিনশতাধিক কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক কেউই সরকারিকরণের সুফল পাচ্ছেন না।  এখনও পর্যন্ত একজন  শিক্ষকেরও পদসৃজন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়নি। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষক কর্মচারীদের মধ্য থেকে ইতোমধ্যে বিপুলসংখ্যক শিক্ষক কর্মচারী  সরকারিকরণের সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত হয়ে শূন্য হাতে অবসরে চলে গিয়েছেন। শিক্ষার্থীরাও কোনো সুফল পাচ্ছেন না।

বক্তরাা বলেন, কর্তৃপক্ষের ষড়যন্ত্রের কারণে বিপুল সংখ্যক শিক্ষক কর্মচারী আত্তীকরণের বাইরে থেকে গেলে তাদের পক্ষে বয়সের কারণে নতুন চাকরিতে যোগদান করা এবং  আত্মমর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকা তো দূরের কথা  পরিবার,পরিজন ও সমাজের কাছে মুখ দেখানোই দায় হয়ে দাঁড়াবে।   এ অবস্থা থেকে রক্ষা করে সব শিক্ষক কর্মচারীদের  মুজিববর্ষের  মধ্যই  পদসৃজন ও এডহক নিয়োগ এর ব্যাপারে 'মাদার অব এডুকেশন',ডটার অব পিস,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,জননেত্রী শেখ হাসিনার আশু  হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা।  

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের  সিনিয়র সহ সভাপতি টি আই এম কামরুল আলম মিঁঞা, সহ সভাপতি কে এস এম সালেহ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ ফজলুল হক, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন ভূঁইয়া, যুগ্ম সম্পাদক মো. মানিক মিয়া। কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, মির্জা মাজহারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার আব্দুল আলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম মজুমদার, শিবু শংকর বোস, জুলফিকার আলী, সাইফুল ইসলাম ও পীরগাছার মো. ফারুক হোসেনসহ বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা কমিটির শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।