এক সপ্তাহ আগে সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের মাঠে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ করা হয়। এ চারাগাছগুলো যাতে গবাদিপশু নষ্ট করতে না পারে সেজন্য বাঁশ ও নেট নিয়ে বেড়াও দেওয়া হয়েছিল। তবে এই স্কুল মাঠে কোরবানির অস্থায়ী পশুর হাট বসছে।
সিলেট সদর উপজেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগের পর প্রতিবাদও জানায় শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। সদর উপজেলায় অনেক খালি জায়গা থাকার পরও ওই মাঠে পশুর হাট বসানোর উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই হাট সরানোর দাবিতে প্রতিবাদী অবস্থান ও মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেট। রোববার লাক্কাতুরা চা বাগানের মূল ফটকের সামনে এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয়।
বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম বলেন, একদিকে গাছ লাগানোর কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী, অন্যদিকে যত্নে লাগানো গাছ বিনষ্ট করার পাঁয়তারা করবে স্থানীয় প্রশাসন। ভূমিসন্তান বাংলাদেশের সমন্বয়ক আশরাফুল কবির বলেন, যারা এই স্থানে হাটের ইজারা দিয়েছেন, তারা প্রকৃতি ও পরিবেশ বোঝেন না।
গতকাল বাপার কর্মসূচিতে বক্তারা সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে পশুর হাট সরানোর দাবি জানান। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (ইমজা) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মঈনুদ্দিন মন্জু, বাপা সিলেটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ, সেভ দ্য হেরিটেজ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট সিলেটের আহ্বায়ক আব্দুল হাই আল হাদি ও সুরমা রিভার কিপারের মুজাহিদ হোসেন মুনিম।
ওই বিদ্যালয়ের ঠিক কাছেই সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও লাক্কাতুরা চা বাগান। পশুর হাট বসলে স্কুলমাঠের পাশাপাশি এসব ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক এইচএম জহির জানান, স্কুলের সীমানার ভেতরে পশুর হাট বসানোর ব্যাপারে আপত্তি জানালেও কেউ তা শোনেনি। লাক্কাতুরা চা বাগানের ব্যবস্থাপক আশরাফুল মতিন চৌধুরী বলেন, তারা আপত্তি জানালেও তা আমলে নেওয়া হয়নি।
ইউএনও মহুয়া মমতাজ জানান, উপজেলা পরিষদের নিয়মিত সভায় অস্থায়ী পশুর হাটের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এরপর ইজারা হয়েছে। সংশ্নিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আপত্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপত্তিগুলো সভায় গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়নি।