স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রমের আওতায় খুদে শিক্ষার্থীদের ব্যাংক হিসাব ও সঞ্চয় দুই-ই বাড়ছে। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর শেষে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকে স্কুল শিক্ষার্থীদের নামে ১৯ লাখ ৮০ হাজার হিসাব খোলা হয়েছে। এসব হিসাবে সঞ্চয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় এক হাজার ৬১৬ কোটি টাকা। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) স্কুল ব্যাংকিং এবং কর্মজীবী শিশু-কিশোরদের ব্যাংক হিসাব পরিচালনাসংক্রান্ত সভায় এ তথ্য দেওয়া হয়। বৈঠকে আসছে মুজিববর্ষে স্কুল ব্যাংকিংয়ের নতুন পণ্য চালু করা এবং বৃহৎ পরিসরে কেন্দ্রীয়ভাবে স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্স আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক জোয়ারদার ইসরাইল হোসেন। বৈঠকে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ফিন্যানশিয়াল ইনক্লুশন বিভাগের ফোকাল কর্মকর্তারা অংশ নেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক জোয়ারদার ইসরাইল হোসেন বলেন, স্কুল ব্যাংকিং ও পথ ও কর্মজীবী শিশুদের অ্যাকাউন্ট খুলতে ব্যাংকগুলোর একটা টার্গেট থাকে। ওই টার্গেট ব্যাংকগুলো কতটা পরিপালন করতে সক্ষম হলো সেটা পর্যালোচনার জন্যই তাদের সঙ্গে মিটিং করা হয়েছে। এ সময়ে তাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু ব্যাংকের স্কুল ব্যাংকিংয়ে হিসাব কমে গেছে। ওই সব ব্যাংকে এ বিষয়ে আরো মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া মুজিববর্ষে স্কুল ব্যাংকিং নিয়ে নতুন কিছু করা যায় কি না সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যেকটি ব্যাংকে পথশিশুদের অ্যাকাউন্ট খুলতে অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছে। বৈঠকে মুজিববর্ষে বৃহৎ পরিসরে কেন্দ্রীয়ভাবে স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্স আয়োজনের ওপর জোর দেয়া হয়। ওই কনফারেন্সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের ওপর বিভিন্ন প্রেজেন্টেশন, উপহার হিসেবে মুজিবুর রহমানের বই দেওয়ার বিষয়টিও আলোচনা হয়। এ ছাড়া বৈঠকে স্কুল ব্যাংকিংয়ের বিদ্যমান রিপোর্টিং ফরম্যাট সংশোধনের বিষয়েও আলোচনা হয়।