মেধাবী শিক্ষার্থীরা জাবিতে এসে কেন ধর্ষক মাদকাসক্ত হয়, প্রশ্ন শিক্ষকদের - দৈনিকশিক্ষা

মেধাবী শিক্ষার্থীরা জাবিতে এসে কেন ধর্ষক মাদকাসক্ত হয়, প্রশ্ন শিক্ষকদের

দৈনিকশিক্ষাডটকম, জাবি |

দৈনিকশিক্ষাডটকম, জাবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণসহ বিভিন্ন সময়ে নিপীড়নের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের বিচার ও মাদকমুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। 

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারসংলগ্ন সড়কে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

মানববন্ধনে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে আমরা দেখেছি, একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল যখন ক্ষমতায় থাকে, তাদের ছাত্র সংগঠনের ছত্রছায়ায় মেধাবী শিক্ষার্থীরা মাদকাসক্ত হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে এবং ক্ষমতায় থেকে ধর্ষক হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে চায়।

গণমাধ্যমে একের পর এক ধর্ষণ, মাদক-সংশ্লিষ্টতা ও প্রশাসনের ব্যর্থতার খবর ছাপা হচ্ছে। যার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান জড়িত। ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত মোস্তাফিজ মেধাবী হয়েই ক্যাম্পাসে ভর্তি হয়েছিল। তবে কেন আজ ধর্ষক হয়ে বের হলো তার দায়ও প্রশাসনকে নিতে হবে।

তিনি বলেন, আসুন দলমত নির্বিশেষে নিপীড়কের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই। গণিত বিভাগের অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, ১৯৯৮ সালে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের ঠিক ২৫ বছর পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের একই ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ একই ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে। নতুন করে ধর্ষণের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মাদক। বহু শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঝরে গেছে মাদকের ভয়াল থাবায়। আবাসিক হলগুলোতে অবৈধ ছাত্ররা অবাধে থাকছে, চাঁদাবাজি হচ্ছে, মাদকের প্রসার হচ্ছে। উপাচার্য এগুলো জেনেও যদি না জানার ভান করেন, তাহলে তিনি পদে থাকার অযোগ্য।

৩ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের এক নেতাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল অষ্টম দিনের মতো আন্দোলন চালিয়ে যান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এদিন সন্ধ্যায় নিপীড়নবিরোধী মঞ্চের ব্যানারে শহীদ মিনার থেকে মশাল মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি বটতলাসহ কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সমাবেশ শেষে উপাচার্যসহ প্রশাসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তারা।

ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তারের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক আমির হোসেন, সামছুল আলম সেলিম, অধ্যাপক নাসরিন, রাশেদ, নূরুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন, আমির হোসেন ভূঁইয়া, বোরহান উদ্দিন প্রমুখ।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ বছরের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে কমিটি - dainik shiksha জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ বছরের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে কমিটি স্কুলে ভর্তির আবেদন করবেন যেভাবে - dainik shiksha স্কুলে ভর্তির আবেদন করবেন যেভাবে এইচএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের ফল বৃহস্পতিবার, জানবেন যেভাবে - dainik shiksha এইচএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের ফল বৃহস্পতিবার, জানবেন যেভাবে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা শুরু ২ জানুয়ারি - dainik shiksha অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা শুরু ২ জানুয়ারি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা - dainik shiksha গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা দপ্তরসহ সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে চালাতেন পিয়ন! - dainik shiksha দপ্তরসহ সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে চালাতেন পিয়ন! ৬১০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগ চূড়ান্ত! - dainik shiksha ৬১০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগ চূড়ান্ত! গণভবন, ভিকারুননিসার বোন ও আইডিয়ালের কলোনি কোটা বাতিল - dainik shiksha গণভবন, ভিকারুননিসার বোন ও আইডিয়ালের কলোনি কোটা বাতিল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে ভাসানী, শেরেবাংলা-সোহরাওয়ার্দীকেও জাতির পিতা করার পরামর্শ - dainik shiksha ভাসানী, শেরেবাংলা-সোহরাওয়ার্দীকেও জাতির পিতা করার পরামর্শ সমন্বয়কদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, সাবধান: সারজিস - dainik shiksha সমন্বয়কদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, সাবধান: সারজিস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0030050277709961