বেআইনিভাবে দেশে স্থাপিত মোনাশ কলেজ স্টাডি সেন্টারের অনুমোদন ও কার্যক্রম কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং তাদের অনুমোদন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মামলায় সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (৬ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক। তার সঙ্গে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার মনজুর নাহিদ।
এর আগে রোববার (৫ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজুর নাহিদের পক্ষে ব্যারিস্টার অনিক আর হক জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন।
রিটে বেআইনিভাবে দেশে স্থাপিত মোনাশ কলেজ স্টাডি সেন্টারের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়। আবেদনে দেশে মোনাশ কলেজের ক্যাম্পাস স্থাপনের সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছিল। রুল শুনানিতে বিদেশি এই কলেজের স্টাডি সেন্টারের কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল।
রিটে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান ও এডুকো বাংলাদেশ লিমিটেডের (এসটিএস গ্রুপ) প্রধান নির্বাহীকে বিবাদী করা হয়েছে।
গত ২১ নভেম্বর মোনাশ কলেজ স্টাডি সেন্টার স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিল চেয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যানকে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মনজুর নাহিদ এ নোটিশ পাঠান। নোটিশের পর ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় হাইকোর্টে রিট করেন তারা।