মোবাইলে উপবৃত্তির সুফল পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা - দৈনিকশিক্ষা

মোবাইলে উপবৃত্তির সুফল পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা

শরীফুল আলম সুমন |

আগে থেকেই মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি পেলেও এর পুরো সুফল পাচ্ছিল না তারা। প্রথমত, হাতে হাতে টাকা দেওয়ায় তা সঠিক সময়ে পাওয়া যেত না। অনেক সময় নানা কারণে পুরো টাকা পেত না শিক্ষার্থীরা। আবার স্কুল থেকেও বিভিন্ন ফি বাবদ এই টাকার একটি অংশ কেটে রাখা হতো। কিন্তু মোবাইলে উপবৃত্তি দেওয়ায় সব ধরনের সমস্যা থেকে মুক্ত এখন শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা। 

সূত্র জানায়, মোবাইলে উপবৃত্তি দিতে গত বছর মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান বিকাশের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হয়। গত ৪ জুলাই থেকে মাত্র ৩৫ দিনের মধ্যে সারা দেশের ১৮৬টি উপজেলার ১১ হাজার ৮৯৯ স্কুলের প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থীর বিকাশ অ্যাকাউন্টের নিবন্ধন সম্পন্ন করা হয়। এসব শিক্ষার্থীর অভিভাবকের মোবাইলে গত ডিসেম্বরের মধ্যে পৌঁছে গেছে উপবৃত্তির টাকা। এর সুফল পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। কোনো ধরনের বাড়তি খরচ ছাড়াই ক্যাশ আউট করে দরিদ্র ও মেধাবী এসব শিশুর অভিভাবকরা তা কাজে লাগিয়েছেন সন্তানের লেখাপড়ার খরচে। 

জানা যায়, মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার রোধ করতে এবং শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্যে উপবৃত্তি প্রকল্প শুরু হয়েছে ২০১৪ সাল থেকে। তবে ২০১৮ সালে এই প্রকল্পের আওতায় বিকাশের মাধ্যমে ১৮৪ কোটি ৮৬ লাখ ৬২ হাজার টাকা মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

দেশের শিক্ষাব্যবস্থার বিভিন্ন স্তরের মধ্যে মাধ্যমিকেই ঝরে পড়ার হার বেশি। তবে উপবৃত্তির মতো পদক্ষেপের কারণে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষায় সুফল বইতে শুরু করেছে। এক হিসাবে দেখা যায়, ২০০৮ সালে মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার ছিল ৬১.৩৮ শতাংশ, যা কমে ২০১৮ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৩৮.৩০ শতাংশে।

শিক্ষক ওবায়দুল রহমান  বলেন, ‘গত বছর আমাদের শিক্ষার্থীদের মাঝে উপবৃত্তি বিতরণের কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ভোগান্তি ছাড়াই উপবৃত্তির অর্থ পেয়েছে।’

মাধ্যমিক শিক্ষা উপবৃত্তি দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্প পরিচালক শরীফ মুর্তজা মামুন বলেন, ‘যখন উপবৃত্তির টাকা ম্যানুয়ালি দেওয়া হতো, তখন অনেক কিছু করার সুযোগ ছিল। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকদেরও বেশ সমস্যায় পড়তে হতো। কিন্তু এখন বিকাশের মাধ্যমে উপবৃত্তি দেওয়ায় ঝামেলাবিহীনভাবে সব কিছু স্বচ্ছতার সঙ্গে করা সম্ভব হচ্ছে। আর সরকারের এই উপবৃত্তি প্রদানের ফলে ঝরে পড়ার হার অনেকটাই কমানো সম্ভব হয়েছে।’

বিকাশের হেড অব করপোরেট কমিউনিকেশনস শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বলেন, ‘নতুন শ্রেণিতে পাঠ শুরু করার আগেই শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বচ্ছতার সাথে উপবৃত্তির অর্থ পৌঁছে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ বিকাশ যথাযথভাবে পালন করেছে। শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা বাড়তি যাতায়াত ভাড়া ছাড়াই আমাদের এজেন্ট পয়েন্টগুলো থেকে সহজে উপবৃত্তির অর্থ ক্যাশ আউট করাতে পেরেছেন।’

জানা যায়, বর্তমানে ১৮৬টি উপজেলার ১২ হাজার স্কুল ও মাদরাসা এই উপবৃত্তির আওতায় রয়েছে। উপবৃত্তিপ্রাপ্ত প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩০ শতাংশ মেয়ে ও ২০ শতাংশ ছেলে। এ ছাড়া এই প্রকল্পের আওতায় উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের এসএসসির ফরম পূরণের ফিও দেওয়া হয়। দরিদ্র, প্রতিবন্ধী, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনিরা এই উপবৃত্তি পাচ্ছে। কোনো পরিবারের ৫০ শতাংশের কম জমি থাকলে এবং বছরে আয় ৩০ হাজার টাকার কম হলে ওই পরিবারের সন্তানদেরও উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।

সূত্র: কালের কণ্ঠ

শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0042319297790527