যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দিবসটি উপলক্ষে সূর্যোদয় ক্ষণে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস পালনের কর্মসূচি শুরু হয়।
সকাল ৮টায় সারাদেশের সঙ্গে একযোগে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। যবিপ্রবির পক্ষ থেকে যশোর শহরের মণিহারের সামনের বিজয় স্তম্ভে, বকুলতলায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে যবিপ্রবি পরিবারের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন পুস্পস্তবক অর্পণ করে। সকাল ১০টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়-চৌগাছা রুটে একটি বাস উদ্বোধন করেন যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। পরে বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে একাত্তরের শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
বিকেলে যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে‘মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন তরুণ প্রজন্মকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, শহিদদের কথা স্মরণ করে আর বেঁচে থাকা গাজীদের দিকে তাকিয়ে স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে তোমাদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে। এ জন্য সোনার বাংলা তৈরির লক্ষ্যে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ও সুস্থ ও সচ্চরিত্রবান শিক্ষার্থী গড়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবদ্দশায় বাংলাদেশকে সোনার বাংলা গড়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তাঁর কন্যা শেখ হাসিনাও সেই চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করতে চাই এ বিশ্ববিদ্যালয় মাদক মুক্ত এবং র্যাগিং মুক্ত। শিক্ষার্থীরা মুক্তমনে স্বাধীনভাবে সবকিছু করবে। এর বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নেবে তাদের সমূলে উৎপাটন করা হবে।
শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গত বছর পুরোপুরি একাডেমিক ক্যালেন্ডার বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। এ বছরও একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সকল ক্লাস-পরীক্ষা হচ্ছে। গত জানুয়ারি মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু অরাজকতার কারণে কয়েক দিন ক্লাস হয়নি। শিক্ষকদের কাছে অনুরোধ করবো, আপনারা অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে সেটা পুষিয়ে দেবেন। আমরা যারা প্রশাসনে আছি, তারা আপনাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। এসময় তিনি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বনাম অগ্রণী ব্যাংকের মধ্যকার প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এ ধরনের প্রীতি ম্যাচ হলে পারস্পারিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বাড়ে। যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়। আশা করি, সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে আমাদের খেলাধুলায় আপনাদের পৃষ্ঠপোষকতা আরও বাড়িয়ে দেবেন।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন, অগ্রণী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও যশোর অঞ্চল প্রধান শেখ মো. মুতাসিম বিল্লাহ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. নাজমুল হাসান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবির বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব, প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. দীপক কুমার মন্ডল প্রমুখ।