করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ঢাকা ও চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করার পর যাত্রী কমতে থাকায় দুটি ট্রেনের চলাচল সামায়িকভাবে বন্ধ হচ্ছে।
শনিবার থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম পথের আন্তঃনগর সোনার বাংলা এবং রোববার থেকে ঢাকা-নোয়াখালী পথের উপকূল এক্সপ্রেসের চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
পূর্ব রেলের মহাব্যবস্থাপকের কার্যালয়ের এক নোটিসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল আলম বলেন, “যাত্রী কমে যাওয়ায় এ দুটি ট্রেনের চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হচ্ছে।”
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে দুই মাসের বেশি সময় দেশে সাধারণ ছুটির পর সরকার ৩১ মে থেকে বেশিরভাগ বিধিনিষেধ তুলে নিলে সীমিত পরিসরে ট্রেন চলা শুরু করে। শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিতে আসন সংখ্যার যাত্রী নিয়ে চলছে ট্রেন।
তবে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে এলাকাভিত্তিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার অনুযায়ী লাল, সবুজ ও হলুদ জোনে ভাগ করে প্রয়োজন অনুযায়ী লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার এলাকা পরীক্ষামূলকভাবে অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
এরপর করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গঠিত কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটির গত শনিবারের সভায় দেশের ‘রেড জোন’ এলাকা চিহ্নিত করা হয়। তাতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ৪৫টি এলাকা সর্বোচ্চ ঝুঁকির ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত হয়।
আর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১১ এলাকা ছাড়াও দেশের আরও তিনটি জেলার বিভিন্ন এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
টেকনিক্যাল কমিটির ওই সভার পর চট্টগ্রাম নগরীতে ‘রেড জোন’ হিসেবে প্রথম লকডাউন করা হয় উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড।