যে কারণে সরকারি চাকরি ছাড়লেন সেরা আমলা - Dainikshiksha

যে কারণে সরকারি চাকরি ছাড়লেন সেরা আমলা

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

কাশ্মীরিদের জীবনের মূল্য আছে—এক টুইটবার্তায় এ কথা লিখে চাকরিতে ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণা দিলেন ভারতের কাশ্মীর থেকে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় শীর্ষস্থান পাওয়া যুবক শাহ ফয়সাল। প্রশ্ন হচ্ছে, সরকারি আমলা হয়ে সরকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমালোচনা করার ফল কি ভালো হতে পারে? ফয়সালের জন্য তা হয়নি। শাহ ফয়সাল বিজেপি সরকারের বিরাগভাজন হয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি নিয়ে পড়া অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে একাধিক পোস্ট দেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয় জম্মু-কাশ্মীর সরকার।

ফেসবুকে চাকরি ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে ফয়সাল লিখেছেন, ‘কাশ্মীরিদের হত্যা’ ও ‘হিন্দুত্ববাদীদের হাতে মুসলিমদের কোণঠাসা হওয়ার’ প্রতিবাদে সিভিল সার্ভিস থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

ভারতে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় শীর্ষস্থান (আইএএস) দখল করে ভূস্বর্গের তরুণ প্রজন্মের আইকন হয়ে ওঠেন শাহ ফয়সাল। তবে সরকারি আমলা হিসেবে তাঁর চাকরি ছাড়ার ঘোষণা ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আলোচিত ঘটনা হয়ে উঠেছে। চাকরি ছেড়ে তাঁর রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার বিষয়েও কথা উঠতে শুরু করেছে।

এনডিটিভি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ সালে মাত্র ২৬ বছর বয়সে আইএএস পরীক্ষায় দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন ফয়সাল। চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়ে নতুন ইনিংস শুরু যাচ্ছেন রাজনীতিতে। ধর্ষণ নিয়ে সরব হয়েছিলেন দেশের এই আইএএস টপার। শেষ পর্যন্ত তার মাশুল গুনতে হচ্ছে ফয়সালকে।

ফয়সালের রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার খবর প্রকাশ্যে এনেছেন জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ। ফয়সাল আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে লড়াইও করতে পারেন। সবকিছু ঠিকঠাক চললে ন্যাশনাল কনফারেন্সের হয়ে ভোটে লড়তে পারেন তিনি।

২০১৮ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের একের পর এক ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছিলেন সরকারি এ আমলা। সরকারবিরোধী তাঁর এসব কথাবার্তা ভালোভাবে নেয়নি সরকার। তাঁর বিরুদ্ধে সার্ভিস রুল ভাঙার অভিযোগ আনা হয়। ফয়সালের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপরই চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এর আগে দেশে ধর্ষণের একাধিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ফয়সাল টুইটারে লেখেন, ‘জনসংখ্যা, পিতৃতন্ত্র, অশিক্ষা, মদ, পর্নোগ্রাফি, প্রযুক্তি ও অরাজকতার ফলে দেশ রেপিস্তান হয়ে গেছে।’ এরপরে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদাসংক্রান্ত সংবিধানের ৩৫এ ধারাকে ভারত ও ওই রাজ্যের মধ্যে ‘বিয়ের দলিল’-এর সঙ্গে তুলনা করেন তিনি।

ফয়সাল আরেক পোস্টে লিখেছেন, ‘কাশ্মীরিদের হত্যা থামাতে সদিচ্ছা দেখাচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যের বিশেষ মর্যাদার ওপরেও আঘাত হানার চেষ্টা হচ্ছে। হিন্দুত্ববাদীদের চাপে দেশের ২০ কোটি মুসলিম কার্যত দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত হয়েছে। এর প্রতিবাদে সিভিল সার্ভিস থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

নরেন্দ্র মোদি সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন ফয়সাল। তাঁর কথায়, ‘রিজার্ভ ব্যাংক, সিবিআই, এনআইএর মতো প্রতিষ্ঠানে হস্তক্ষেপ এ দেশের সাংবিধানিক কাঠামোকে নষ্ট করে দিতে পারে। আমি ফের জানাতে চাই, দেশের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষকে বেশি দিন চুপ করিয়ে রাখা যাবে না।’

এদিকে বিজেপিবিরোধিতার বিষয়টি ঘিরেই ফয়সালের রাজনীতিতে যোগদান নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফয়সালের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ওমর আবদুল্লাহ লেখেন, ‘আমলাতন্ত্রের ক্ষতি হলেও রাজনীতির লাভ হলো। রাজনীতিতে স্বাগত।’

শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি: শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি: শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় - dainik shiksha অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিতে বিশেষ কমিটি গঠনে নীতিমালা হবে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিতে বিশেষ কমিটি গঠনে নীতিমালা হবে: শিক্ষামন্ত্রী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ মে’র পরীক্ষা স্থগিত - dainik shiksha জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ মে’র পরীক্ষা স্থগিত হিটস্ট্রোকে সাতক্ষীরায় শিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে সাতক্ষীরায় শিক্ষকের মৃত্যু হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয় - dainik shiksha হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয় দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ করতে শিক্ষামন্ত্রীর সুপারিশ - dainik shiksha চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ করতে শিক্ষামন্ত্রীর সুপারিশ শিক্ষিকার উত্যক্তকারীকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ - dainik shiksha শিক্ষিকার উত্যক্তকারীকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ সর্বজনীন পেনশনে অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষক সমিতির কর্মসূচি - dainik shiksha সর্বজনীন পেনশনে অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষক সমিতির কর্মসূচি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0038588047027588