রমজানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাস চলছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে ২০ রমজান পর্যন্ত এবং মাধ্যমিক স্কুল ও উচ্চমাধ্যমিক কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীদের ২৪ রমজান পর্যন্ত ক্লাস চালানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রমজানের প্রথম দিনে রোববার শিশু শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম সরেজমিনে ঘুরে দেখার চেষ্টা করেছিলাম।
বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের শিশুদের মাঝে মাহে রমজানের প্রভাব খুব বেশি। রাজধানীর খিলগাঁও এরশাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেল, গরমে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা ক্লান্ত দেহে কর্তব্য পালন করছেন। বিদ্যালয়ে প্রথম রোজায় প্রাক প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৩৬৬ শিক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৫৮৬ জন। পঞ্চম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বেশিরভাগ শিক্ষার্থী রোজা রেখেছে।
উত্তর বাসাবো এস আর এ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিদর্শন করে দেখা গেলো, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৩৭১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯৩ জন উপস্থিত আছেন। শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো, তৃতীয় শ্রেণির উপস্থিত ২০ জন, তাদের মধ্যে ১৬ জন রোজা রেখেছেন। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ৩৪ জনের মধ্যে ৩১ জন রোজা রেখেছেন। মতিঝিল থানার সহকারী থানা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহ্রুখ জাবীন সরজমিনে এ উপস্থিতি তথ্য দেখে গেছেন।
দক্ষিণ বাসাবো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করে দেখা গেল, তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির ২৭০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ১২৩ জন। এদের মধ্যে রোজা রেখেছে ৮৭ জন।
রমজানের প্রথমদিন মতিঝিল আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সব শাখায় শ্রেণির কার্যক্রম বন্ধ ছিলো। তাই মতিঝিল, সবুজবাগ, খিলগাঁও, মুগদা সহ আশেপাশের থানার বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের মাঝে বিদ্যালয় ছুটি দেয়ার দাবি উঠেছে।
লেখক : মো. সিদ্দিকুর রহমান, সভাপতি, বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ।