রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার ‘সি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবছর এই ইউনিটে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৩৮ দশমিক ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় ড. মোহাম্মদ কুদরত-ই-খুদা একাডেমিক ভবনে বিজ্ঞান অনুষদের সভা কক্ষে এ ফল প্রকাশিত হয়।
জানা গেছে, এবছর এই ইউনিটে ৩৮ দশমিক ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। যারমধ্যে গ্রুপ-১ পাশের হার ৪৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। সর্বোচ্চ নম্বর ৮৭ দশমিক ৫৫। গ্রুপ-২ এ পাশের হার ৪২ দশমিক ৭৬ শতাংশ। সর্বোচ্চ নম্বর ৯২ দশমিক ৭৫। গ্রুপ-৩ এ পাশের হার ৩৫ দশমিক ৩৭। সর্বোচ্চ নম্বর ৮৪ দশমিক ০৫ এবং গ্রুপ-৪ পাশের হার ২৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ। সর্বোচ্চ নম্বর ৮৩ দশমিক ৪০।
সি ইউনিটের সমন্বয়ক ও বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক সাহেদ জামান বলেন, সর্বোচ্চ সতর্কতার মধ্য দিয়ে আমরা পরীক্ষার সকল খাতা মূল্যায়ন করেছি। ফলাফল যাচাই-বাছাই শেষে এবছর পাশের হার ৩৮.৯ শতাংশ।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা নেয়া ও রেজাল্ট প্রকাশ করারসহ আগে-পরে সব কাজ সম্পন্ন করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তবে তারা সবকিছু সুন্দরভাবে সম্পন্ন করেছে, তাই সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। এ ফলাফলে সর্বোচ্চ মেধার মূল্যায়ন হয়েছে বলে জানান উপাচার্য।
এসময় সি ইউনিটের কো-অর্ডিনেটর এবং বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শাহেদ জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল ইসলাম, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবাইদুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডেসহ সংশ্লিষ্ট ডীন ও কর্মকর্তাবৃন্দ।
২০২১-২২ সেশনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ৭৮ হাজার ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। সি ইউনিটে ১ হাজার ৫৫৮টি আসনের বিপরীতে চূড়ান্ত আবেদন করেছিলেন ৭২ হাজার ৪১০ জন ভর্তিচ্ছু।
লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য এবং কপ২৬ এ নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান ব্রিটিশ স্পিকার। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
এর উত্তরে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ব্রিটিশ সংসদকে রোহিঙ্গা বিষয়ে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সংসদ ফ্রেন্ডশিপ গঠনের প্রস্তাব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।