রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ এবং ৫০ হাজার টাকা না দিলে সামাজিক মাধ্যমে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকির মামলার প্রধান আসামি মো. মাহফুজুর রহমানকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের এক আবেদনের শুনানী করে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত এ আদেশ দেন।
আগামী ৮ সপ্তাহের জন্য জামিন স্থগিত করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তিনি কারাগার থেকে বের হতে পারবেন না।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানী করে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মাম মোরশেদ। অপরদিকে আসামীপক্ষে ছিলেন সাবেক বিচারপতি ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন।
এর আগে গত ২৫ মার্চ এ বিষয়ে এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আসামীকে জামিন দেন। আদালতে আসামী মাহফুজের পক্ষে শুনানি করেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
এ মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮ টার দিকে মাহফুজুর রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কাজলা সাঁকোপাড়া এলাকার একটি মেসে নিয়ে যান। সেখানে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন তিনি। ওই সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন তার বন্ধু বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী প্লাবন সরকার, রাফসান, জয়, জীবন ও বিশাল। পরে সেই ছাত্রীর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন তারা। তাদের দাবিকৃত টাকা না দিলে ধারণ করা ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে গভীর রাতে ওই ছাত্রীকে ছেড়ে দেন তারা।
এরপর ওই বছরের ২৭ জানুয়ারি দুপুরে ধর্ষণের শিকার ছাত্রী মতিহার থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে মাহফুজুর রহমান এবং তার দুই বন্ধু প্লাবন সরকার ও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র রাফসানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর তাদের কাছ থেকে ধর্ষণের ভিডিওসহ মোবাইল জব্দ করা হয়।