রিভিউ করলেই কমছে পাস করা শিক্ষার্থী, আর বাড়ছে ইয়ার লস করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা। এমন ঘটনা ঘটেছে রাজশাহীর বিএসসি ইন নার্সিং (বেসিক) শিক্ষার্থীদের। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের নার্সিং বেসিক প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। এনিয়ে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবিগুলো হলো,১০ শতাংশ গ্রেজ দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু ভুল করেছে তাই সাবজেক্ট কমিয়ে ১০০ জন শিক্ষার্থীদের ইয়ার লস বাঁচাতে হবে। ক্যারিঅন পদ্ধতি চালু করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুলের কারণে শিক্ষার্থীরা যে প্রতিবাদ করেছে তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনকে হুমকিতে না ফেলা।
জানা গেছে, রাজশাহী মেডিকলে কলেজের অধিভুক্ত ১৬ টি নার্সিং রয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহী জেলায় রয়েছে ছয়টি। আর রাজশাহীর বাইরে রয়েছে আরো ১১টি। রাজশাহীর জেলার ছয়টি হলো- সরকারি নার্সিং কলেজ, ডায়েবেটিক নার্সিং কলেজ, ইসলামী ব্যাংক নার্সিং কলেজ, উদায়ন নার্সিং কলেজ ও র্মীজা নার্সিং কলেজ। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের বিএসসি ইন নার্সিং (বেসিক) প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৬৬৪ জন শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, চলতি বছরের গত ২৭ জানুয়ারি বেসিক নার্সিং শিক্ষার্থীদের প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার অনুষ্ঠিত হয়। এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৬৬৪ জন শিক্ষার্থী। সেই পরীক্ষার ফলপ্রকাশ করা হয় একই বছরের নয় জুন। ফলাফলে দেখা গেছে, ফেল করেছে ৪৩২ জন শিক্ষার্থী। আর ইয়ার লস হয়েছে আরো ১০০ জন শিক্ষার্থীর। এ ফলাফলের প্রতিবাদে চলতি বছরের গত চার আগস্ট রিভিউ করে মেডিকেল ইউনির্ভাসিটি। লিভিউ ফলাফলে মাত্র ১৭ জন শিক্ষার্থী পাস করে। যার সংখ্যা ৪১৫ জন। এছাড়া বেড়ে যায় ইয়ার লস করা শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও। প্রথমে পরীক্ষার ফলাফলের সময় ১০০ জনের ইয়ার লস ফল প্রকাশ পেলে একার বেড়ে দাঁড়ায় ১১০ জনে। এই ফলাফলের প্রতিবাদে আবার রিভিউ করা হয় ৬ আগস্ট। এবার ফেল করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৫ জন। কমেছে ইয়ার লস করা ১০ জন শিক্ষার্থীর সংখ্যা। ইয়ার লস করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০০ জন। যা প্রথম ফলাফল প্রকাশর একই রকম।
এসময় শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের ফলাফল প্রকাশে দুর্নীতি করা হয়েছে। তাই রিভিউ করলে হেরফের হচ্ছে ফলে। এর জন্য শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন থেকে এক বছর লস হয়ে যাচ্ছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাদের। দেখা গেছে এক বছরে একজন শিক্ষার্থীর প্রায় এক লাখ টাকা খরচ হবে অতিরিক্ত ইয়ার লস হলে।
রাজশাহী মেডিকেল অধিভুক্ত নার্সিং কলেজের ডিন ড. জাওয়াদুল হক আন্দেলনরত শিক্ষার্থীদের বলেন, শিক্ষার্থীদের কোন দাবি থাকলে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের মাধ্যমে লিখিত ভাবে জানাও।