রুয়েট শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় রাবি শিক্ষক সমিতির নিন্দা - Dainikshiksha

রুয়েট শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় রাবি শিক্ষক সমিতির নিন্দা

রাবি প্রতিনিধি |

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. রাশিদুল ইসলামের ওপর হামলা ও লাঞ্ছনার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (রাবিশিস)। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানানো হয়েছে। 

রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল ইসলাম খানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রুয়েটের শিক্ষক রাশিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী গত ১০ আগস্ট রাজশাহীর সাহেব বাজার মণিচত্বর এলাকায় স্থানীয় বখাটে ও সন্ত্রাসীর দ্বারা হামলা ও লাঞ্ছনার শিকার হন। ঘটনাটি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ও হৃদয়বিদারক। প্রকাশ্য দিবালোকে জনসমাগমস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের স্ত্রীর ইভটিজিংয়ের শিকার হওয়া এবং তার প্রতিবাদ করায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের ওপর এ ধরনের বর্বরোচিত হামলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন।

হামলায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হামলার শিকার দম্পতির প্রতি আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি। এই সন্ত্রাসী ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের আমরা তীব্র ঘৃণা ও ধিক্কার জানাচ্ছি এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

শান্তির নগরী হিসেবে খ্যাত রাজশাহীসহ সারাদেশে যাতে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখা ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তথা সরকারের কাছে শিক্ষক সমিতি জোর দাবি জানাচ্ছে।

জানা যায়, গত ১০ আগস্ট নগরীর সাহেব বাজার মণিচত্বরে স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় বখাটেদের মারধরের শিকার হন রুয়েট'র ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. রাশিদুল ইসলাম। ঘটনার ৭ দিন পর শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় ভুক্তভোগী শিক্ষক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার দিনই তিনি 'মেনে নিন নয়তো দেশ ছেড়ে চলে যান' শিরোনামে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। তার স্ট্যাটাসটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলে।

তিনি লিখেছেন, এদেশে আপনার চোখের সামনে আপনার মা, বোন অথবা বউ ধর্ষিত হলেও প্রতিবাদ করবেন না, আশপাশে কাউকে পাবেন না। মার খেয়ে মরবেন। কারণ আপনি একটা জানোয়ার, আমিও একটা জানোয়ার, জানোয়ারে ভরা সমাজ আমাদের।

ঘটনার সূত্রপাত নিয়ে বলেন, সাহেব বাজার মনিচত্বরের মতো জনবহুল এলাকাতেও আমার বউ যৌন হয়রানির শিকার হয়। এক পাল ছেলের মধ্যে একজন আমার বউকে পেছন থেকে কয়েকবার ইচ্ছাকৃত ধাক্কা দেয়। দুই-তিনবার সহ্য করলেও পরেরবার প্রতিবাদ করি।

ব্যাস, সোনার ছেলেদের দাপট শুরু। শেষে আমাকে সোনা-দীঘি মসজিদের সামনে ৫-৭ জন মিলে ঘিরে ধরে মারা শুরু করে। এই পর্যন্তও না হয় মেনে নিলাম। কিন্তু ওখানে কম করে হলেও ৫০ জন আমার মার খাওয়া দেখছিল। একজনও এগিয়ে আসেনি। মার খাওয়ার একপর্যায়ে আমি দর্শকদের উদ্দেশে বলি, ‘বাঁচান আমাকে’, কোনো রেস্পন্স পাইনি। একজন মোটরসাইকেল থামিয়ে আমার মার খাওয়া দেখছিল, আমি হেল্প চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মোটরসাইকেল চালিয়ে চলে গেল।

আবেগতাড়িত এই পোস্টে তিনি আরও বলেন, মার খেয়ে কাপুরুষ আমি দর্শকদের বলি, ‘আপনারা আজ এগিয়ে এলেন না, একদিন আপনার বউযের সঙ্গে এমন হলেও কেউ এগিয়ে আসবে না। ও আমার বউ, গার্লফ্রেন্ড না, কাবিননামা দেখাতে হবে আপনাদের?’ একজন ভিড়ের মধ্য থেকে বলে বসলো, ‘হ্যাঁ, কাবিননামা নিয়েই চলাফেরা করতে হবে’। তখন আবার মনে পড়লো আমি জানোয়ারের সমাজে বাস করি, এমন উত্তরই আমার প্রাপ্য।

দেশের বাইরে পিএইচডি অধ্যয়নরত এই শিক্ষক বলেন, ধরেন দ্বিতীয়বার আক্রমণে ওরা আমাকে মেরে ফেলল। কি করবেন? ফেসবুকে কান্নাকাটি? জাত গেল জাত গেল রব তুলবেন? কোনটাই করবেন না দয়া করে, এতে কিছু এসে যায় না। আর যারা করবে, তাদের গিয়ে থুথু দিয়ে আসবেন।

ধরেই নিয়েছিলাম, পিএইচডি শেষ করে দেশে ফিরব, মা-বাবা চান না বাইরে স্যাটেল করি। এ ঘটনার পর দ্বিতীয়বার ভাববো অবশ্যই।

কাল খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শনিবারও চালু ক্লাস - dainik shiksha কাল খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শনিবারও চালু ক্লাস সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি - dainik shiksha সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি - dainik shiksha বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয় - dainik shiksha ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয় একই স্কুলের দুই ছাত্রীকে বিয়ের পর আরেক ছাত্রীকে ল্যাব সহকারীর অনৈতিক প্রস্তাব - dainik shiksha একই স্কুলের দুই ছাত্রীকে বিয়ের পর আরেক ছাত্রীকে ল্যাব সহকারীর অনৈতিক প্রস্তাব দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.021400928497314