জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাগিংসহ (শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন) নানা অপরাধের ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এসব বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে প্রক্টর, প্রাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রারকে বলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি আবাসিক হলের করিডর, কমনরুম ও গণরুমে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসি ক্যামেরা) স্থাপনেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
প্রাধ্যক্ষ কমিটির এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় প্রাধ্যক্ষ কমিটি ও প্রক্টরিয়াল বডির সমন্বয়ে র্যাগিং পর্যবেক্ষণ ও প্রতিরোধ করতে চারটি কমিটি গঠনেরও সিদ্ধান্ত হয়। এসব কমিটি যেকোনো সময় হল পরিদর্শন করতে পারবে এবং সংশ্লিষ্ট হলের প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকরা এ কমিটিকে সার্বিক সহায়তা করবেন। এ ছাড়া সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর ভেতরে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা জোরদার করতে এবং র্যাগিং, ম্যানার শেখানো, রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যেতে বাধ্য করা বন্ধে সব আবাসিক হলের করিডর, কমনরুম ও গণরুমে সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রক্টর ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘র্যাগিং বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয় আগে থেকেই জিরো টলারেন্স নীতিতেই ছিল। আমরা যখন যেখানেই র্যাগিংয়ের খবর পেয়েছি দ্রুত সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। কখনো কখনো এমন হয় যে আমরা খবর পাই না, তখন একটু সমস্যা হয়। আমরা জিরো টলারেন্সেই আছি। আমরা কিন্তু সাথে সাথেই দায়ীদের বহিষ্কার করছি। তবে রোববারের সভায় এই বিষয়টিকেই আরো গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হলের করিডরে সিসি ক্যামেরা লাগানো এখন হয়তো পারব না। কারণ সব হলের সব করিডরে লাগাতে গেলে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। এই মুহূর্তে এত অর্থের সংকুলান সম্ভব হবে না। আপাতত হলগুলোর গেটে এবং গণরুমের সামনে লাগানো হবে।’
প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন, ‘প্রতি হলের জন্য ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে করিডর, কমনরুম ও গণরুমে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষকরা প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভায় র্যাগিং নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। র্যাগিংয়ের ঘটনা কিছু গোপনেও ঘটছে। তবে অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। হলের বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।’