লাইব্রেরি থেকে শিক্ষকদের কমিশন, দ্বিগুণ দামে বই কিনতে বাধ্য শিক্ষার্থীরা - দৈনিকশিক্ষা

লাইব্রেরি থেকে শিক্ষকদের কমিশন, দ্বিগুণ দামে বই কিনতে বাধ্য শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

রাজধানীর বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে নির্ধারিত লাইব্রেরি থেকে অভিভাবকদের বেশি দামে বই কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। কোনও কোনও বিদ্যালয়ের নির্ধারিত লাইব্রেরিতে বইয়ের দাম দ্বিগুণ এমনকি তিনগুণ পর্যন্ত রাখা হচ্ছে। আর চড়া দামের একটা অংশ কমিশন হিসেবে নিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষকরা। 

 সায়মন্স লাইব্রেরিতে বইয়ের দাম ১৬৫০ টাকা (ছবিতে বামে) আর নীলক্ষেত থেকে ৮৭৩ টাকায় কেনা যায় একই বই (ডানে) 

রাজধানীর পল্টনের লিটল জুয়েলস নার্সারি ইনফ্যান্ট এন্ড জুনিয়র স্কুলের সামনেই সায়মন্স লাইব্রেরি। বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে তালিকা ধরিয়ে দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের সামনের ওই লাইব্রেরি থেকেই বইগুলো কিনতে বলা হয়েছে শিক্ষার্থীদের। কিন্তু একাধিক অভিভাবক দৈনিক শিক্ষাকে বলেছেন, দ্বিগুণ দামে বিক্রি করা হচ্ছে তালিকাভুক্ত বইগুলো। তারা জানিয়েছেন,‘নার্সারি শ্রেণিতে মোট ৯টি বই  কিনতে হয়েছে। ওই লাইব্রেরিতে এসব বইয়ের দাম রাখা হয়েছে এক হাজার ৬৫০ টাকা। আর রাজধানীর নীলক্ষেতে এসব বই-ই বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৮৭৩ টাকায়।’

লিটল জুয়েলস নার্সারি ইনফ্যান্ট এন্ড জুনিয়র স্কুল

অভিভাবকেরা দৈনিক শিক্ষাকে আরো জানিয়েছেন, নীলক্ষেতে গণিতের দুটি বই যেখানে প্রতিটির দাম পড়েছে ১৪০ টাকা করে, সেখানে বিদ্যালয়ের নির্ধারিত লাইব্রেরিতে একটির দাম রাখা হয়েছে ৪৩৮ টাকা আর অন্যটির ৩৯৮ টাকা। নীলক্ষেতে বেসিক রিডিং এন্ড রাইটিং বইটির দাম ৩৩ টাকা। আর ওই লাইব্রেরিতে সেই বইয়ের দাম রাখা হয়েছে ৯০ টাকা। একইভাবে অন্যান্য বইয়ের দামও অনেক বেশি রাখা হয়েছে।

বইয়ের দাম কেন এত বেশি রাখা হচ্ছে, সে ব্যাপারে সদুত্তর দিতে পারেননি সায়মন্স লাইব্রেরির কর্মচারীরা। 

অভিযোগ রয়েছে, নির্ধারিত ওই লাইব্রেরি থেকে অভিভাবকদের বই কিনতে বাধ্য করার মাধ্যমে, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও প্রধান শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা ওই লাইব্রেরির মালিকের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে থাকেন।

এ বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের মন্তব্য জানতে দৈনিক শিক্ষাডটকমের পক্ষ থেকে স্কুলটির ওয়েবসাইটে দেয়া ফোন নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউ ফোন ধরেননি। 

তবে, থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে বলা হয়েছে লিখিত অভিযোগ পেলে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন তারা। 

প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ৯ মে - dainik shiksha প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ৯ মে প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নতুন নির্দেশনা ঢাকার তাপমাত্রা দেখে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নয়: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha ঢাকার তাপমাত্রা দেখে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নয়: শিক্ষামন্ত্রী তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির বেশি হলে স্থানীয়ভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে পারে - dainik shiksha তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির বেশি হলে স্থানীয়ভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে পারে বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষাখাত - dainik shiksha বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষাখাত আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0058829784393311