শিক্ষককে তুলে নিয়ে পেটালো দুর্বৃত্তরা | মাদরাসা নিউজ

শিক্ষককে তুলে নিয়ে পেটালো দুর্বৃত্তরা

নাটোরে সাইদুল ইসলাম (৩৮) নামে এক মাদরাসা শিক্ষককে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে রাস্তায় ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। আহত মাওলানা মো. সাইদুল ইসলাম সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়নের মাঝদীঘা নুরানী হাফেজিয়া মাদরাসার শিক্ষক এবং মাঝদীঘা গ্রামের বাসিন্দা। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজে

দৈনিকশিক্ষাডটকম, নাটোর : সাইদুল ইসলাম (৩৮) নামে এক মাদরাসা শিক্ষককে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে রাস্তায় ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। আহত মাওলানা মো. সাইদুল ইসলাম সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়নের মাঝদীঘা নুরানী হাফেজিয়া মাদরাসার শিক্ষক এবং মাঝদীঘা গ্রামের বাসিন্দা। 

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে— মাগরিবের নামাজ শেষ হওয়ার কিছু সময় পর পাঁচ ছয় জন অপরিচিত মানুষ তাকে মাদরাসার বাইরে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে চলে যায়। তারপর তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে বারঘরিয়া গ্রামের পূর্ব দিকে চিকুর মোড় এলাকায় ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।

শিক্ষককে তুলে নিয়ে পেটালো দুর্বৃত্তরা

ভুক্তভোগী সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি মাগরিব নামাজ পড়া শেষ করে মাদরাসার অফিসে বসে কোরআন তেলাওয়াত করেছি। তারপর বই পড়ছিলাম, হঠাৎ ৫-৬জন মানুষ অফিস রুমের সামনে এসে জিজ্ঞেস করে আপনি কি সাইদুল ইসলাম? আমি হ্যাঁ বলতেই বলে, একটু আসেন। বাহিরে যেতেই মুহূর্তের ভেতর রাস্তায় নিয়ে মাইক্রোতে তুলে ফেলে। তারপর চোখ মুখ বেধে ফেলে। পরে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে পাইপ ও হাতুড়ি দিয়ে পেটানো শুরু করে।'

এসময় তিনি মাদরাসা পরিচালনার বিষয় নিয়ে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের সাথে বিরোধের কথা জানিয়েছেন।

মাঝদীঘা নুরানী হাফিজিয়া মাদরাসার সভাপতি ও ছাতনী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন সরকার বলেন, তিনি (সাইদুল ইসলাম) কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত না। তবে মাহফিল নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যের সাথে দীর্ঘদিন ধরে তার বিরোধ চলে আসছিল।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ‌ বলেন, ঘটনাটি শোনার পরে বিট অফিসারকে সেখানে পাঠিয়েছি। সে (বিট অফিসার) জানিয়েছে ঘটনা সত্য। ভিকটিমকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে । এ বিষয়ে থানায় এখনও কেউ অভিযোগ করেননি।