নাটোরের হয়বতপুর গোলাম ইয়াছিনিয়া ডিগ্রি ফাজিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক জাফর বরকতকে (৫২) মারধরের অভিযোগে করা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান কালুকে (৬০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার রাতে তাকে নাটোর শহর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে একইদিন জাফর বাদি হয়ে লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান কালু, তার ছেলে জয়সহ ৭ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ৮ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা দায়েরের পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে কালুকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে বৃহস্পতিবার সকালে মাদ্রাসা এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মাদ্রাসায় নিয়মিত ক্লাস চালু রয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি পরিবর্তনের দাবি নিয়ে কালু ও তার ছেলে জয় সহ প্রায় ১৫ জনের একটি দল বুধবার সকালে ওই মাদ্রাসায় গিয়ে অধ্যক্ষকে খুঁজতে থাকেন। অধ্যক্ষকে না পেয়ে শিক্ষকদের গালাগালি করতে থাকে। এ সময় মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাফরের কক্ষে ঢুকে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন তারা।

একপর্যায়ে তারা তার ওপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করেন। তারা জাফরকে টেনে হেঁচড়ে বাইরে বের করে আনেন এবং তাকে প্রায় অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় টানতে টানতে মাদ্রাসার পাশে অবস্থিত ইউপি কার্যালয়ে নিয়ে আটকে রাখেন। সেখানেও ওই শিক্ষককে নির্যাতন করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জাফরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
আরও পড়ুন : গালি দিতে নিষেধ করায় শিক্ষককে মারধর
নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাছিম আহমেদ শিক্ষককে মারধরের মামলায় কালুকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মাদ্রাসায় ক্লাস চলছে। মামলার অন্য অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।