একজন হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন ইএফটি করার জন্য শিক্ষকদের কাছ থেকে চার লক্ষাধিক টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নাটোরের গুরুদাসপুরে এ কর্মকর্তার নাম মোহাম্মদ আজম আলীর
সংশ্লিষ্ট সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, সরকার দেশের সব পর্যায়ে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করার অংশ হিসেবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতনও ডিজিটাল পদ্ধতি করতে ইএফটি অর্থাৎ ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন। ইএফটির কাজ সম্পন্ন হলে স্ব স্ব শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরাসরি তাদের হিসাব নম্বরে জমা হবে। প্রত্যেক বিদ্যালয়ের আলাদা আলাদা কোড নম্বর রয়েছে। বিদ্যালয়ের কোড ওপেন করলেই ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নাম দেখা যায়।
মঙ্গলবার দুপুরে এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশকিছু শিক্ষক সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস অনেক শিক্ষকের নামের সঙ্গে বিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করেননি। ইএফটি করতে গিয়ে যে শিক্ষকের নামের সঙ্গে বিদ্যালয়ের নাম নেই ওই সব শিক্ষকের কাছ থেকে ৫০০ থেকে ১ হাজার এবং শুধু ইএফটি করার জন্য ৩০০-৫০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। এমনকি তাদের বাধ্য করে ঘুষ নেওয়া হচ্ছে বলে শিক্ষকরা জানান।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এটা জটিল কাজ না। যেভাবেই হোক ভুল হয়েছে। বিদ্যালয়ের নাম ওপেন করলেই শিক্ষকের নাম ওপেন হবে। তখন তার নামের সঙ্গে বিদ্যালয়ের নাম লিখে দিলেই হয়ে গেল। হিসাবরক্ষণ অফিস সেটা করছে। তবে ওই সংশোধনী বা ইএফটির জন্য শিক্ষকদের কাছ থেকে কোনো টাকা নেয়া হচ্ছে কিনা তা জানা নেই বলে তিনি দাবি করেন।উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজম আলী ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ইএফটি ও বিদ্যালয়ের নাম সংশোধনের জন্য শিক্ষক সমিতির নেতারা তার কম্পিউটারের জন্য কালি ও এক প্যাকেট কাগজ কিনে দিয়েছেন। তবে তার অফিসের অন্য কেউ চায়ের কথা বলে কিছু টাকা-পয়সা নিতে পারে বলে তিনি জানান।