বাগেরহাটের শরণখোলায় একটি কওমি মাদরাসা শিক্ষকের পিটুনিতে আহত মো. তামিম (১৪) নামের এক ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সহপাঠীর সাথে দুষ্টুমি করায় উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের নলবুনিয়া হাজি বাড়ি মাদরাসার শিক্ষক মুফতি আবু দাউদ রোববার সকালে তামিমকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন।
ওই ছাত্র মাদরাসা সংলগ্ন মধ্য নলবুনিয়া গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক শামীম হাওলাদারের ছেলে। এ ব্যাপারে শরণখোলা থানায় অভিযোগ করেছেন তার বাবা।শরণখোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মাদরাসা ছাত্র জানায়, সকালে সহপাঠী রাব্বির সঙ্গে দুষ্টুমি করলে তা দাউদ হুজুরের কাছে বলে দেওয়া হয়। এরপর হুজুর একটি লাঠি নিয়ে এসে তাকে পেটাতে শুরু করেন। পেটাতে পেটাতে একপর্যায়ে লাঠি ভেঙে যায়। কয়েকবার পা ধরে ক্ষমা চাইলেও হুজুরের মন গলেনি। আবার লাথি মেরে সরিয়ে দেন তাকে। আহত ছাত্রের বাবা বলেন, ছাত্ররা ছাত্ররা একটু দুষ্টুমি করায় আমার ছেলেকে অমানুষিকভাবে পেটায় দাউদ হুজুর।
আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। অভিযুক্ত শিক্ষক মুফতি আবু দাউদের কাছে জানতে চাইলে বলেন, রাব্বি নামের ওই ছেলেটির হাত ভাঙা। তামিম তাকে প্রতিবন্ধী বলে টিটকারী মারে। এ অভিযোগ করার পর আমার খুব খারাপ লাগে। তখন আমার মাথা গরম হয়ে যাওয়ায় আমি পিটুনি দিয়েছি।
এ ঘটনার জন্য আমি অনুতপ্ত। শরণখোলা উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আরিফুল ইসলাম রাকিব বলেন, ছেলেটির শরীরে ১৩টি আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। আঘাতগুলো লালবর্ণ হয়ে গেছে। তবে তার বাঁ হাতের কনে আঙুল ভেঙেছে কি না তা এক্স-রে করার পর জানা যাবে। শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জানান, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।