চরফ্যাশনে সদ্যজাতীয়করণকৃত দক্ষিণ আলীগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মহসীনের বিরুদ্ধে সিইনএড সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে পদোন্নতি গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। আলীগাঁও গ্রামের জনৈক আবদুল করিম এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। মো. মহসীন চরফ্যাশন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির (সদ্য জাতীয়করণকৃত) একাংশের সভাপতি বলে জানা গেছে।
অভিযোগ সূত্র জানা গেছে, মহাজোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরপর ২০০৮ সালে দেশের সব রেজিস্ট্রি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষকদের মধ্য থেকে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকদের পদোন্নতি দিয়ে কর্মরত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের বিধান অনুমোদন করা হয়। প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির বিধান অনুযায়ী একজন শিক্ষককে নূন্যতম এইচএসসি পাশ, নিরবচ্ছিন্নভাবে ৭ বছর সহকারি শিক্ষক পদে কর্মরত থাকা এবং সি.ইন.এড সনদধারী হওয়ার শর্ত রাখা হয়। কিন্ত সি.ইন.এড কোর্স সম্পন্ন না করেই জাল সনদ দাখিল করে মো. মহসীন পদোন্নতি নিয়েছেন বলে লিখিত অভিযোগে দাবি করা হয়েছে। সনদ জালিয়াতির বিষয়টি সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে, যখন মো. মহসীনের নামে ২টি সনদের সন্ধান মেলে। অভিযোগকারী আব্দুল করিম দাবি করেন, প্রথম সনদে ভোলা পিটিআই হতে জানু-ডিসেম্বর/২০০৩ শিক্ষাবর্ষে তিনি সিইনএড কোর্সে ভর্তি হন এবং তার রোল নম্বর ছিল ৪১২।
কিন্ত এই সনদে পরীক্ষা অংশগ্রহণের বছর ডিসেম্বর/২০০৮ এবং ফল প্রকাশের সময় ১৬ জুন/২০০৯ দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি দ্বিতীয় সনদপত্রে ভোলা পিটিআই হতে জানু-ডিসেম্বর/২০০৮ শিক্ষাবর্ষে তিনি সিইনএড কোর্সে ভর্তি হন এবং তার রোল নম্বর ছিল ৪১২। কিন্ত এই সনদে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বছর ডিসেম্বর/২০০৮ এবং ফল প্রকাশের সময় ১৬ জুন/২০০৯ দেখানো হয়েছে। অভিযোগকারী জানান, মূলত মো. মহসীন সিএনএড কোর্স না করে জাল সনদের মাধ্যমে পদোন্নতি নিয়েছেন। অভিযোগ প্রসংঙ্গে মো. মহসীন বক্তব্য দিতে অস্বীকার করেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিখিল চন্দ্র হালদার জানান, প্রধান শিক্ষক মো. মহসীনের বিরুদ্ধে সি ইন এড সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে পদোন্নতি গ্রহণের একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগটি যাছাই করার জন্য সনদের অনুলিপিসহ সংশ্লিষ্ট বোর্ডে পাঠানো হবে। বোর্ড থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।