কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও কুড়িগ্রাম মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক আতাউর রহমান মিন্টুর হাত-পা কর্তনের ঘটনার ২৭ দিন পর মামলার প্রধান আসামী মেহেদী হাসান বাঁধনসহ মোট ৪ আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সকালে কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইন কনফারেন্স কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা এ তথ্য জানান।
এসময় গ্রেফতারকৃত আসামী মেহেদী হাসান বাঁধন, রশিদ মিয়া, মাজহারুল ইসলাম মনোয়ারকে সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত করা হয়। এ ঘটনার অপর আসামী আল আমিন আহম্মেদ শুভকে ঘটনার পরপর গ্রেফতার করা হয়েছিল। শুভ বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ায় তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা জানান, আসামীরা ৭-৮বার অবস্থান পরিবর্তন করে আত্মগোপন করছিল। বুধবার রাতে এএসপি উৎপল কুমার রায় ও তদন্তকারী অফিসার পবিত্র সরকার তাদেরকে গ্রেফতার করে কুড়িগ্রামে নিয়ে আসে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের জোড় প্রচেষ্টা চলছে।
গত ১৬ মার্চ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও শিক্ষক আতাউর রহমান মিন্টুকে রাজারহাট উপজেলার ছিনাই এলাকায় আসামীরা পথরোধ করে তার ডান হাতের কব্জী বিচ্ছিন্ন করে ফেলে এবং বামহাত ও দুই পা কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে ওই দিনেই মিন্টুর পিতা আলতাফ হোসেন আসামী বাঁধনসহ ১১জনের নাম উল্লেখসহ ৪-৫জনকে অজ্ঞাত করে রাজারহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করে।