নওগাঁর রাণীনগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার বিজ্ঞান) সাদেকুল ইসলাম পিটু ও ওই স্কুলের ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীর অনৈতিক কর্মকান্ডের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন আইডি ও পেজে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনাটিকে নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে। দ্রুত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা ও ছাত্রীদের অবিভাবকরা।
জানা গেছে, উপজেলার বেলোবাড়ি গ্রামের মৃত আসরত আলী মিনার ছেলে সাদেকুল ইসলাম পিটু প্রায় ১০-১২ বছর আগে রাণীনগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী গ্রন্থাগারিক হিসাবে যোগদান করেন। এরপর থেকেই পিটু ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়াতেন। এরই মাঝে ওই স্কুলের ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ানোর সুবাদে তার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এ বিষয়ে ভিডিও ধারণ করা হয়েছে বলে স্থানীয়দের মধ্যে জানা জানি হলেও পরে স্থানীয় প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি ধামচাপা দেয়া হয়।
এরপর হঠাৎ করে গত শনিবার (১মে) একটি ফেসবুক আইডিতে ৫ মিনিট ১০ সেকেন্ডের সেই ভিডিও প্রকাশ করা হয়। পরে সেই আইডির ভিডিও থেকে স্ক্রিনসট ফেসবুকের বিভিন্ন আইডি থেকে ভাইরাল হয়। এছাড়াও ফেসবুকের কয়েকটি পেজে ভিডিওটি প্রকাশের পর ভাইরাল হয়। ভিডিওটি দেখে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ও সমালোচনার ঝড় বইছে।
বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের কয়েকজন অভিভাবক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, শিক্ষক যদি ছাত্রীর সাথে এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়। সেই বিদ্যালয়ে আমাদের মেয়েরা কতটুকু নিরাপদ? তাই দ্রুত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম পিটুর মুঠোফোনে দৈনিক শিক্ষা ডটকমের পক্ষ থেকে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে রাণীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। আমি লোক মুখে শুনেছি তাই সোমবার বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মিটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তীতে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
রাণীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গোলাম হোসেন গোল্লা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি ৪ মাস আগে ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি। ঘটনাটি জানার পর আগামীকাল মিটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ভিডিওটির সত্যতা পেলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলার সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আল মামুন দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, আমার বিষয়টি জানা নেই আপনার মাধ্যমে প্রথম জানলাম। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় গ্রহণ করা হবে।