শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা ফের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির হাতে দেয়ার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বৈঠকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলে শিক্ষক নিয়োগে নতুন পদ্ধতি বাতিল করে আগের পদ্ধতি পুনর্বহালের পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন কমিটির সব সদস্য। নতুন পদ্ধতিতে দলীয় অথবা পছন্দের লোকদের নিয়োগ দেয়া যাচ্ছে না বলেও মত প্রকাশ করেছেন অনেকে। রোববার (২২ এপ্রিল)সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সদস্য দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
২০১৫ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবরে এন্ট্রি লেভেলের নিয়োগের লক্ষ্যে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষমতা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের হাতে দেয়া হয়েছে। ফলে এসব পদে নিয়োগের ক্ষমতা হারিয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটি। আবার নিবন্ধন কর্তৃপক্ষও প্রত্যাশীতভাবে কাজ করছে না বলে চাকরিপ্রার্থীদের অভিমত।
সংসদীয় কমিটির সদস্যদের মতে, “নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের হাতে নিয়োগের ক্ষমতা দেয়ার অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দুই বছর যাবত নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। আবার দলীয় লোকদের নিয়োগ দেয়া যাচ্ছে না।”
সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এনসিআরটিএ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে নিয়োগ দিচ্ছে তাতে বেশ কিছু সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এক একজন ব্যক্তিদের অনেক দূর-দূরান্তে নিয়োগ দেয়া হয়। প্রকৃত মেধার যাচাই হয় না। এজন্য আমরা নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের প্রতিষ্ঠানের আগের নিয়মে পরিচালনা কমিটি/গভর্নিং বডির মাধ্যমে নিয়োগ দিতে বলেছি।’
সংসদীয় কমিটির বৈঠক নিয়ে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন পত্র ফাঁস ও নকল বন্ধ,পরীক্ষা পদ্ধতি ও পরীক্ষা কেন্দ্র কমানো বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া জেলা শহরে অনেক অননুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে সে গুলোর বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসককে একটি নীতিমালার আওতায় আনার বিষয়ে কমিটি সুপারিশ করে।
সরকারি কর্ম কমিশনের দক্ষতা ও মনোন্নয়নের বিষয়ে সম্পর্কিত প্রতিবেদন কমিটির পরবর্তী বৈঠকে প্রদানের বিষয়ে সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি এইচএন আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটি সদস্য জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক, এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, রআম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, খোরশেদ আরা হক এবং জয়া সেন গুপ্তা অংশ নেন।