জামালপুরের মেলান্দহে একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই বিদ্যালয়ে বৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া এক শিক্ষককে বাদ দিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া সনদধারী একজনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার পর অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তা পুনঃ তদন্ত হচ্ছে।
এদিকে গত বছরের মে থেকে অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া ওই শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের কেজিএস উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে কামাল হোসেন নামের একজনকে গত ২০১৩ সালের ২৭ মে সরকারি বিধি মোতাবেক নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই নিয়োগপ্রক্রিয়া চলাকালে কামাল হোসেনের কাছ থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা উেকাচ নেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক জুলফিকার আলী লেবু। কিন্তু পরে তিনি আরো দুই লাখ টাকা দাবি করলে কামাল তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ অবস্থায় বিদ্যালয়ে টানা তিন বছর বিনা বেতনে শিক্ষকতা করার পর কামালকে চাকরিচ্যুত করা হয়। পরে পিএসসির মো. রাসেল মিয়াকে ওই পদে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষক তাঁর কাছ থেকে সাড়ে আট লাখ টাকা উেকাচ নেন বলে জানা গেছে।