শিক্ষক নিয়োগ : ই-রিকুইজিশন ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষক নিয়োগ : ই-রিকুইজিশন ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। গত ১৪ জানুয়ারি থেকে তৃতীয় চক্রে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ বা ই-রিকুইজিশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিকুইজিশন প্রক্রিয়া চলবে।

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ করে এনটিআরসিএ। বাছাই করা প্রার্থীদের আর কোনও পরীক্ষা দিতে হয় না। ইতোমধ্যে দুইটি চক্রে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে ও ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগে প্রার্থী সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তৃতীয় চক্রে শিক্ষক নিয়োগ দিতে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি বিকেল থেকে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা শূন্যপদের তথ্য দিতে পারছেন। 

এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শিক্ষক নিয়োগের শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের ই-রেজিস্ট্রেশন সফলভাবে শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) থেকে ই-রিকুইজিশন বা শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চলবে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। তবে, ই রিকুইজিশনের সময় বাড়ানো হবে কিনা সে বিষয়ে এখনো কোন পরিকল্পনা বা সিদ্ধান্ত হয়নি। সময় বাড়ানো হলে অবশ্যই জানানো হবে।

তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও বলেন, এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে (http://ngi.teletalk.com.bd বা www.ntrca.gov.bd) প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নিজস্ব ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে শূন্যপদের চাহিদা দিতে হবে। আর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্ব স্ব ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে শূন্যপদের তথ্য যাচাই করে প্রত্যয়ন বা স্বাক্ষর দিবেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের প্রত্যয়ন না বা স্বাক্ষর ছাড়া শূন্যপদের তথ্য আমলে নেবে না এনটিআরসিএ।

গত শিক্ষক নিয়োগে প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে শূন্যপদের ভুল তথ্য দেয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় প্রার্থীদের। এ জটিলতা নিরসনে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করেছেন এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেন। তিনি জানান, ই রিকুইজিশন প্রক্রিয়ায় ব্যপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। কেউ চাইলেও ভুল তথ্য দিতে পারবেন না।

শূন্যপদের ভুল তথ্য দিলে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান এস এম আশফাক হুসেন। তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কোন প্রতিষ্ঠান শূন্যপদের ভুল তথ্য দিলে সে পদে সুপারিশ করা প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে হবে। প্যাটার্নের অতিরিক্ত শূন্যপদের চাহিদা দিলে শিক্ষকের শতভাগ বেতন প্রতিষ্ঠান থেকে দিতে হবে। তা না হলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের এমপিও বন্ধ করা হবে। আর কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমপিও নীতিমালায়ও এমনটি বলা আছে।

এর আগে চেয়ারম্যান বলেন, অতীতে শিক্ষক নিয়োগে প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে শূন্যপদের ভুল তথ্য আসায় অনেক প্রার্থী ভোগান্তিতে পড়েছেন। আগে মহিলা কোটা কম্পিউটার নির্ধারণ করতো। এ নিয়ে অনেক প্রার্থী জটিলতায় পড়েছেন। ভুল তথ্যে যাতে কেউ ভোগান্তিতে না পড়ে সে বিষয়টি মাথায় রেখেই তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের দেয়া তথ্য তদারকির দায়িত্ব ছিল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের। কিন্তু যখন পদগুলোতে প্রার্থী সুপারিশ করা হয় ও ভুল তথ্যের কারণে জটিলতা সৃষ্টি হয় তখন প্রতিষ্ঠান প্রধান ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন এ তথ্য তারা পাঠাননি। এ জটিলতা নিরসনেরও উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। এবার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের শূন্যপদের তথ্য তদারকির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া ই-রিকুইজিশন প্রক্রিয়ায় বিস্তর পরিবর্তন আনা হয়েছে।

শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা - dainik shiksha মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.019264936447144