শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয় তদবিরে : সেতুমন্ত্রী - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয় তদবিরে : সেতুমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক |

শিক্ষার মান বাড়াতে চাইলে শিক্ষকতার মানও বাড়াতে হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শিক্ষক নিয়োগে মেধা যোগ্যতাকে পাশ কাটিয়ে তদবিরে নিয়োগ দেওয়া হয়। এভাবে খুবই বাজে দৃষ্টান্ত স্থাপিত হচ্ছে।

‘শিক্ষা: ২০৪১ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বাস্তবিক কৌশল’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহান শিক্ষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপকমিটি এই সেমিনারের আয়োজন করে।

শিক্ষকের সন্তান ওবায়দুল কাদের বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যারা শিক্ষক, যারা মূল দায়িত্বে আছেন তারা প্রভাবশালী ছাত্রনেতাদের কথায় উঠেন আর বসেন। এই ব্যক্তিত্বহীনতা আমাদের শিক্ষকতার মর্যাদাকে ভীষণভাবে ক্ষুণ্ন করছে।

অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে বিভিন্ন জায়গায় লক্ষ করেছি যে, মেধা যোগ্যতাকে পাশ কাটিয়ে প্রভাবশালীদের তদবিরে নিয়োগ দেওয়া হয়। এভাবে খুবই বাজে দৃষ্টান্ত স্থাপিত হচ্ছে। আমরা যদি শিক্ষার মান বাড়াতে চাই তাহলে শিক্ষকতার মানও বাড়াতে হবে। এ ব্যাপারে যত্নশীল হবে হবে।

বিশ্ববিদ্যলয়ে পলিটিক্যাল রুমের সংস্কৃতি বন্ধ করার তাগিদ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অছাত্রদের পুনর্বাসনের জন্য এ পলিটিক্যাল রুম। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারাই মূলত এই গণরুম ও পলিটিক্যাল রুম চালান। এরা হলে ওঠার ব্যাপারে অনেক সমস্যা করেন। অনেকে বাণিজ্য করেন, এসব চিরতরে বন্ধ করতে হবে। শিক্ষায় গুণগতমান বৃদ্ধি ও উন্নয়ন আনতে এগুলো বন্ধ করতে হবে বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
 
বক্তব্যের শুরুতে তিনি বলেন টাইম ম্যাগাজিনে বিশ্বের সেরা ৫০০ বা ১০০০ হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাতে দেশের কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। দেশে আন্তর্জাতিক মানের একটিও বিশ্ববিদ্যালয় না থাকা দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, এককালে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হিসেবে খ্যাতি পাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন অস্তাচলে। শিক্ষা গবেষণায় বরাদ্দ আগের তুলনায় বাড়ানো হলেও তা এখনো চাহিদার তুলনায় কম বলে মনে করেন তিনি।

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.004694938659668