পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম না পাঠানো প্রার্থীদের প্রাথমিক সুপারিশ করা চার হাজারের বেশি শিক্ষক পদে আবেদন করা অন্যান্য প্রার্থীদের দ্বিতীয় ধাপের নিয়োগ সুপারিশের অনুমতি চেয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। আর ইতোমধ্যে যোগদান না করা তিন হাজার তিনশর বেশি পদে প্রার্থীদের দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি মিললে সব মিলিয়ে সাত হাজারের বেশি পদে প্রার্থীরা দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশ পেতে পারেন। চলতি মে মাসের শেষে বা আগামী জুন মাসের শুরুতে এসব পদে প্রার্থীদের দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
রোববার দুপুরে দৈনিক শিক্ষাডটকমের সঙ্গে আলাপকালে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে এনটিআরসিএর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানিয়েছিলেন, তিন হাজার তিনশর বেশি পদে দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ভিআর ফরম না পাঠানো পদগুলোতে দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশ করা হচ্ছে না। যদিও প্রার্থীরা ভিআর ফরম না পাঠানো পদগুলোতে দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশ করার দাবি জানাচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রোববার দুপুরে চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ভিআর ফরম না পাঠানো প্রার্থীদের সুপারিশ করা পদগুলোতে আবেদন করা অন্যান্য প্রার্থীদের দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশ করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে এখনো সে অনুমতি মেলেনি। সে অনুমতি পেলে ভিআর ফরম না পাঠানো পদগুলোতেও দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশ করা হবে। আমরা কাজ করছি। আর ভিআর ফরম পাঠিয়েও যোগদান না করা তিন হাজার তিনশ পদে প্রার্থীদের দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশের পরিকল্পনা আছে।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, ভিআর ফরম না পাঠানো পদগুলোতে প্রার্থীদের দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশ করার অনুমতি পেলে এ পদগুলো খালি থাকবে না। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নিবন্ধিত প্রার্থী উভয়ই উপকৃত হবে। আমরা এ বিষয়গুলো জানিয়ে মন্ত্রণালয়ের কাছে এ পদগুলোতে নিয়োগ সুপারিশ করার অনুমতি চেয়েছি। আশা করছি, মন্ত্রণালয় এ পদগুলোতে দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশ করার অনুমতি দেবে। ভি রোল ফরম না পাঠানো প্রার্থীদের সুপারিশ করা পদগুলোতে অন্যান্য যেসব প্রার্থী আবেদন করেছিলেন তারাও ওই পদগুলোতে সুপারিশ পেতে চাচ্ছেন।
কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি মাসের শেষে সুখবর পেতে পারেন প্রার্থীরা। এসব পদে নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশের প্রস্তুতি চলছে। অনেক নতুন শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হবে। বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির ও দ্বিতীয় ধাপের নিয়োগ সুপারিশ একইসঙ্গে ঘোষণা হতে পারে। তারা আশা করছেন আগামী ২৭ মে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি দেশে ফিরে সংবাদ সম্মেলন করে এ ফল ঘোষণা করবেন। চলতি মাসের শেষে সম্ভব না হলে আগামী জুন মাসের শুরুতে প্রার্থীরা নিয়োগ সুপারিশ পাবেন।
প্রচলিত নিয়মে কোনো শিক্ষক পদে সুপারিশ পাওয়া প্রার্থী যোগদান না করলে সেই পদে আবেদন করা মেধাতালিকার ভিত্তিতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা প্রার্থীদের সুপারিশ করা হয়। এর আগে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে দ্বিতীয় নিয়োগ চক্রে সুপারিশ পেয়েও যোগদান না করা পদে অন্য প্রার্থীদের দ্বিতীয় ধাপে সুপারিশ করা হয়েছিল। সে প্রেক্ষিতে তৃতীয় নিয়োগচক্রে যোগদান না করা পদগুলোতে প্রার্থীদের দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ১৭ এপ্রিল শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ বিষয়ে নেয়া সিদ্ধান্ত অনুসারে এনটিআরসিএর নির্বাহী কমিটির সভায় আলোচনা করে প্রার্থীদের দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশ করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেলে প্রাথমিক সুপারিশ পেয়ে ভিআর ফরম না পাঠানো চার হাজারের বেশি পদে এবং চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়ে যোগদান না করা ৩ হাজার তিনশ পদে প্রার্থীদের দ্বিতীয় ধাপের নিয়োগ সুপারিশ করা হবে।
তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি অনুসারে প্রার্থীদের নিয়োগ সুপারিশ করার পর ৪ হাজার ১৯৮ জন প্রার্থী প্রথমে ভিআর ফরম পাঠাননি। পরে তাদের ফের ভিআর ফরম পাঠানোর সুযোগ দেয়া হলে ১১৬ জন সুপারিশ প্রাপ্ত ফরম এনটিআরসিএতে পাঠান। সে অনুযায়ী ১১৬ প্রার্থীকে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ সুপারিশ করে এনটিআরসিএ। বাকি পদগুলো শূন্য আছে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।