কুড়িগ্রামের উলিপুরের এক শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে শিক্ষকদের বদলি ও দপ্তরি কাম প্রহরী নিয়োগের নামে ‘দালালি’ করে অবৈধভাবে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। একইসাথে বিভিন্ন সরকারি বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি উপজেলার দক্ষিণ সাদুল্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি। শিক্ষক নেতা মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে আসা এসব অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে অভিযোগটি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে।
ইতোমধ্যে শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগটি তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। আগামী ৩০ নভেম্বর সকালে স্কুলে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ সূ্ত্রে জানা গেছে, উলিপুর উপজেলার দক্ষিণ সাদুল্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য দুর্যোগকালীন ব্যয় বাবদ ৫ হাজার, প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির মালামাল বাবদ ১০ হাজার, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্লিপ বাবদ ৭০ হাজার ও ক্ষুদ্র মেরামত বাবদ ২ লাখ টাকাসহ মোট ২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে কোন প্রকার কাজ না করে প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন প্রতিষ্ঠানটির সরকারি বরাদ্দের পুরো টাকাই আত্মসাৎ করেছেন।
অভিযোগে আরও জানা যায়, তিনি উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি হওয়ার প্রভাব খাটিয়ে দালালী করে দপ্তরি কাম প্রহরী নিয়োগ, শিক্ষক বদলি ও নানা নিয়ম বহির্ভূতকাজ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ তদন্ত করতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলামকে চিঠি দেন।
চিঠির আলোকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আগামী ৩০ নভেম্বর বিদ্যালয়ে সরেজমিন তদন্ত করবেন। তদন্তের সহযোগিতা করার জন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের ওই দিন সকালে স্কুলে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক নেতা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে, তিনি তদন্তের চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।