জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা শিক্ষাগত যোগ্যতায় পরিবর্তন এনেছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও মানিকগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ মমতাজ বেগম। স্বামীর নামও পরিবর্তন করেছেন। এ জন্য তিনি নির্বাচন কমিশনে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের আবেদন করেছিলেন। মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) সংশোধিত জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে পেয়েছেন আসন্ন একাদশ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া মমতাজ।
সংশোধনের ফরমে স্বামী রমজান আলীর স্থলে এ এস এম মঈন হাসান নাম চেয়েছিলেন মমতাজ। আর শিক্ষাগত যোগ্যতায় পঞ্চম শ্রেণির স্থলে দশম শ্রেণি চেয়েছিলেন। আবেদন ফরমের সঙ্গে তিনি পাসপোর্ট, বিয়ের সনদ ও স্কুলের ১০ শ্রেণির প্রশংসাপত্র জমা দিয়েছিলেন।
দৈনিক শিক্ষার অনুসন্ধানে জানা যায়, ডা. মঈন হাসানকে ২০১১ খ্রিস্টােব্দে বিয়ে করেন কিন্ত গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর মমতাজ তা অস্বীকার করেন। ৭ বছর পর সেই স্বামীর নাম নিজেই প্রকাশ করলেন।
মমতাজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগেই সংশোধনের জন্য আবেদন করেছিলাম। আজ সংশোধিত জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে পেয়েছি।’
নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, তফসিল ঘোষণার পর থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ও স্থানান্তর বন্ধ রয়েছে। তবে আইন অনুযায়ী কমিশনের অনুমোদন নিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করা হয়। সংসদ সদস্য মমতাজের আবেদনটিতে কমিশন অনুমোদন দিয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসনে আবারও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন জনপ্রিয় এই কণ্ঠশিল্পী। গত রবিবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নৌকা প্রতীকে মনোনয়নের চিঠি পান তিনি। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মমতাজ বেগম।
প্রসঙ্গত, ফোক গানের সম্রাজ্ঞী খ্যাত মমতাজ বেগমের স্বামী ছিলেন মানিকগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র রমজান আলী। তবে বেশ কয়েক বছর আগে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়। পরে তিনি ২০১১ খ্রিস্টাব্দে এ এস এম মঈন হাসানকে (চঞ্চল) বিয়ে করেন। মঈন হাসান পেশায় চোখের চিকিৎসক বলে জানা যায়।