দুর্নীতি-অনিয়মের দূর্গ-খ্যাত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের একজন নারী কর্মকর্তার নীরব কান্না শুনছেন না কেউ। শিক্ষা ভবনের ৬ষ্ঠ তলার একটি কক্ষে বসেন বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের এই নারী কর্মকর্তা।
শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, সরকারি কর্মচারীদের আচরণবিধি অনুযায়ী সহকর্মীদের সঙ্গে যা বলা বা করা যায় না তা-ই করা হয়েছে এই নারী কর্মকর্তার সঙ্গে। আর যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি শিক্ষা অধিদপ্তরেরই একজন স্থায়ী কর্মকর্তা। একজন প্রকৌশলীও বটে! বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার এবং এলএলবি দুটো সনদই রয়েছে তার। অভিযুক্তের কক্ষের সামনে কাগজে লেখা নেমপ্লেটে লেখা রয়েছে “ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা’।
জানা যায়, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে সংঘটিত অনভিপ্রেত ওই ঘটনাটি এক কান দুই কান করে দপ্তরের শীর্ষ ব্যক্তি পর্যন্ত সবাই জেনেছেন। কিন্তু শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থার খবর নেই এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অধিদপ্তরের একজন পরিচালক বলেন, ‘গত সপ্তাহে হঠাৎ ডাক পড়লো ডিজি স্যারের রুমে। ভাবলাম কিছু একটা জটিল বিষয় আলোচনা করবেন স্যার। কিন্তু ডিজি স্যার যা বললেন তার সারমর্ম এই যে, ‘ইদানিং কতিপয় সিনিয়র কর্মকর্তা জুনিয়র সহকর্মীদের সঙ্গে অনভিপ্রেত আচরণ করছে যা কারো কাম্য নয়।’
এদিকে প্রায় তিন মাস আগে শিক্ষা ভবনের ৬ষ্ঠ তলার একজন নৈশ প্রহরীর হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন একজন নন-ক্যাডার কর্মকর্তা। অফিসের কাজে শিক্ষা অধিদপ্তরে এসে অনভিপ্রেত ওই ঘটনার সম্মুখীন হন তিনি। প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দেন মহাপরিচালক বরাবর। ওই ঘটনার একমাস পরে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দিতে গড়িমসি করছেন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: নাসির হোসেন। অভিযুক্ত নৈশ প্রহরী দিনের বেলায় পিওন পদে চাকরি করছেন।