স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার নতুন নীতিমালা অনুমোদন, বেসরকারি স্কুল-কলেজ-মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট, বৈশাখী ভাতা প্রদানের ঘোষণা এবং অবসর ভাতার জন্য অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়েছে মাদরাসা শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন। রোববার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রীর সাথে তাঁর হেয়ার রোডের সরকারি বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাত করেন জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের একটি প্রতিনিধি দল।
সাক্ষাত শেষে মাদরাসা শিক্ষার অগ্রগতি, উন্নয়ন এবং শিক্ষকদের দাবি পূরণের জন্য শিক্ষামন্ত্রীর হাতে ফুল তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের নেতারা। একই সাথে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো: সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মোঃ আলমগীরকেও ধন্যবাদ জানানো হয়।
শিক্ষামন্ত্রীর হাতে ফুল তুলে দেন জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মাদরাসা ও কারিগরি বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব রওনক মাহমুদ, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সফিউদ্দিন আহমদ, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালা, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক এবং মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান একেএম ছায়েফ উল্যাহ ।
জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, ঢাকা মহানগরের সভাপতি মাওলানা আখম আবু বক্কর সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জাফর সাদেক, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাওলানা এজহারুল হক, দিনাজপুর জেলার সভাপতি মাওলানা হাসান মাসুদসহ ঢাকা মহানগর ও জেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মাদরাসা শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। এজন্য শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। একইসাথে মাদরাসা শিক্ষার জন্য পৃথক অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদা স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের সমান করেছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মতো মাদরাসা শিক্ষার্থীদের একই সিলেবাসের আওতায় এনে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারসহ সব ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় তিনি এসব কাজ করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি মন্ত্রী থাকা অবস্থায় সব সময় মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেছেন। ভবিষ্যতেও তিনি মন্ত্রী থাকলে কিংবা না থাকলে সব সময় মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নে এবং সহযোগিতায় কাজ করার আশা প্রকাশ করেন। একই সাথে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের সকল আলেম-ওলামাদের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার নিজের জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন।
শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, গত দশ বছরে মাদরাসা শিক্ষকরা যেসব দাবি দাওয়া করেছেন তার সবই আওয়ামী লীগ সরকার পূরণ করেছে। এখনো যেসব ছোটখাটো দাবি-দাওয়া অপূরণ রয়েছে আগামীতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে তা পূরণ করার অঙ্গীকার করেন তিনি।