শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনির পা ছূঁয়ে সালাম করে দোয়া চাইলেন আন্দোলনরত ননএমপিও শিক্ষক নেতারা। আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাত নয়টার দিকে শিক্ষামন্ত্রীর হেয়ার রোডের সরকারি বাসভবনে যান কয়েকজন নেতা। মন্ত্রী তাদেরকে পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙানোর সময় কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অংশ হিসেবে মন্ত্রীর পা ছুঁয়ে সালাম করেন নেতারা। এ সময় অনশন স্থগিত করেন শিক্ষক নেতারা। সবাইকে বাড়ী ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে নেতারা বলেন, ‘অনশন সাময়িক স্থগিত করা হলো।’
অনশন ভাঙ্গানোর সময় মন্ত্রী শিক্ষক নেতাদের বলেন, শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার সুযোগ করে দেয়া হবে। এমপিও নীতিমালা সংশোধন করা হবে এবং তাতে শিক্ষকদের প্রতিনিধি রাখা হবে।’
এর আগে আমরণ অনশন স্থগিত করার উপায় খুঁজেছেন ননএমপিও শিক্ষক নেতারা। এরই অংশ হিসেবে তারা শিক্ষামন্ত্রীর সাথে ফের কথা বলার চেষ্টা শুরু করেন মঙ্গলবার সকাল থেকে। অবশেষ রাত নয়টার দিকে শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনির সরকারি বাসায় যাওয়ার সুযোগ পান সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহামুদুন্নবী ডলার ও সাধারণ সম্পাদক বিনয় ভূষনসহ কয়েকজন নেতা। এদের মধ্যে দুইজন গত রোববার সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রীর সাথে বৈঠককালে সুন্দরভাবে কথা বলেননি বলে জানা গেছে। রোববারের বৈঠক শেষে ফিরে এসে ফেসবুকে শিক্ষামন্ত্রীর কিছু কথা বিকৃতভাবে তুলে ধরারও অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। সব নেতাদের সাথে আলোচনা না করেই তারা অনশন শুরুর ঘোষণা দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতা দৈনিক শিক্ষাকে বলেছেন, ঝোঁকের মাথায় অনশন শুরু করেই তা স্থগিত করার উপায় খোঁজা শুরু করেন নেতারা। অনশনের সমর্থন পাওয়া যাচ্ছিল না তেমন। তাছাড়া রোববারের বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রীর কোনো যুক্তিই খণ্ডন করতে পারেননি শিক্ষক নেতারা।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছিলেন ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা। সব প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তি চান শিক্ষক-কর্মচারীদের একাংশ। এ দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সোমবার (২১ অক্টোবর) থেকে ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ব্যানারে অনশন শুরু করেছিলেন তারা।
শিক্ষকরা জানান, একাডেমিক ম্বীকৃতির মানদণ্ডে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নেমেছিলেন তারা। এ দাবি আদায়ে গত রোববার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সাথে আড়াইঘন্টার বৈঠকে দাবি মানার কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় ফের অনশনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ননএমপিও শিক্ষকরা।