কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অভিযোগে মামলা করেছেন সমন্বিত জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (সজেকা) কুষ্টিয়া।
সোমবার (১১ অক্টোবর) সকালে কুষ্টিয়া জেলা দায়রা জর্জ সান্টায়ানার বিশেষ আদালতের বিচারক শেখ আবু তাহেরের আদালতে সমন্বিত জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন কুষ্টিয়ার উপ-সহকারী পরিচালক নীল কমল পালের দেওয়া এজাহারটি বিজ্ঞ আদালত আমলে নিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের কৌশুলী এ্যাড. আল মুজাহিদ হোসেন মিঠু।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১০-১১ অর্থবছর থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত সময়ে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রশীদ জ্ঞাত আয়বহির্ভুত ৩৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা ও ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অপরাধ।
সমন্বিত জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (সজেকা) কুষ্টিয়ার কৌশুলী এ্যাড আল মুজাহিদ হোসেন মিঠু মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, দুদকের সব মামলাই চুড়ান্তভাবে আদালতে দাখিলের পূর্বে নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও বিচক্ষনতার সাথে তদন্তকারী কর্মকর্তারা তদন্ত করেন। শুধুমাত্র তদন্তে সত্যতা প্রমাণিত হলে চুড়ান্ত মামলা হিসেবে আদালতে দাখিল করা হয়। এ মামলার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। সোমবার বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন সংশ্লিষ্ট দুদক কর্মকতারা।

সমন্বিত জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (সজেকা) কুষ্টিয়া কার্যালয় থেকে জানা যায়, কুমারখালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে উল্লেখিত জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ ছাড়াও আরও কয়েক কোটি টাকার সম্পদের তথ্য রয়েছে যেগুলোর পর্যবেক্ষণ চলছে।