শিক্ষা ভবনের বারান্দায় মাসের পর মাস অযত্নে অবহেলায় পড়ে আছে ২৮৫টি কলেজের ডিড অব গিফটের কপি। জাতীয়করণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২৮৫টি কলেজের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও সম্পত্তি দানপত্র দলিলের (ডিড অব গিফট) মাধ্যমে সরকারের কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশ দেয় কয়েকমাস আগে। নির্দেশ পেয়ে তালিকাভুক্ত ২৮৪টি কলেজ অধ্যক্ষরা অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে দানপত্র দলিল মাধ্যমিক ও উচশিক্ষা ভবনে অবস্থিত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের জমা দেন। কিন্তু শত শত দলিল শিক্ষা অধিদপ্তরের সরকারি কলেজ শাখার মেঝেতে পড়ে রয়েছে। নেপথ্যে রয়েছে ক্যাডার নন-ক্যাডার দ্বন্দ্ব!
মন্ত্রণালয় থেকে একাধিকবার নির্দেশ দেয়া হয়ছে ডিড অব গিফটের কপি পাঠানোর। সর্বশেষ আজ বৃহস্পতিবারও নির্দেশ দেয়া হয়।
দৈনিকশিক্ষার অনুসন্ধানে জানা যায়, আত্তীকরণ বিধিমালা ২০০০ সংশোধন করে নতুন জাতীয়করণকৃত কলেজ শিক্ষকদের নন-ক্যাডার করা নিশ্চিত না হলে ডিড অব গিফট মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে হবে না। এমন মনোভাব পোষণ করছেন অধিদেপ্তরের কতিপয় কর্মকর্তা।
জাতীয়করণের তালিকাভুক্ত কলেজ শিক্ষক পরিষদের একাধিক নেতা দৈনিশিক্ষাডটকমকে বলেন, অধিদপ্তরের ৯০ শতাংশ কর্মকর্তাই সরাসরি বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের। অনেকেই নো বি সি এস নো ক্যাডারের স্লোগানের একাত্ম! আবার কেউ কেউ সমিতির সঙ্গে।
অবিলম্বে ডিড অব গিফটের কপি মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর দাবী করেছেন জাতীয়করণের তালিকাভুক্ত কলেজ শিক্ষকরা। অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ইঙ্গিত করে তারা বলেন, “প্রজাতন্ত্রের কর্মচারিরা সরকারি কাজে বাধা দিলে গণকর্মচারি আইনের আওতায় শাস্তি পেতে হবে।”