শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্বাচনে সভাপতি পদে মো. ফকরউদ্দিন তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. আনছার আলী। গত সোমবার এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচনে সভাপতি পদে শিক্ষামন্ত্রীর দপ্তরের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) মো. ফকরউদ্দিন তালুকদার ১০৬ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। একই পদে ১৫ ভোট পেয়েছেন মো. আকরাম হোসেন। সহসভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় শিকদার কবির হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে ৯৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন প্রশাসনিক শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা (এও) মো. আনছার আলী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মো. রবিউল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ২৫ ভোট। যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মো. নুরুজ্জামান। তিনি ৮৫ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হামিদা মুক্তি পেয়েছেন ৩৫ ভোট।
সাংগঠনিক পদে তিনজন অংশ নিলেও ৫২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম। এ পদে আবু সাঈদ বোরহান উদ্দিন ৩৫ ভোট পেয়েছেন। দপ্তর সম্পাদক পদে ৬৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো. সোয়াইবুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রার্থী মো. শামছুর রহমান পেয়েছেন ৫১ ভোট।
অর্থ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মো. রাশেদ হোসেন। তিনি ৬৩টি ভোট পেয়েছেন। একই পদে এনামুল হক পেয়েছেন ৫৭ ভোট। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মো. মোশারফ হোসেন। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে ৯২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো. জাহিদুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রার্থী সজিব চাকমা পেয়েছেন ২৮ ভোট। মহিলা সম্পাদিকা পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন অনিতা রানী মজুমদার। সদস্য পদে চার জন নির্বাচন করলেও তিনজন জয়ী হয়েছেন। নির্বাচিতরা হলেন- মো. নুরুল ইসলাম, মো. আতিকুল ইসলাম ও চায়না আক্তার।
নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন মন্ত্রণালয়ে উপ-সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ নির্বাচন ঘিরে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কয়েক দিন উৎসব মুখর ছিলেন। অফিস শেষ করেই রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি কলোনিতে বসবাসকারী ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়িয়েছেন। ভোটারদের মন জয় করতে দিয়েছেন নানা প্রতিশ্রুতি।