শিক্ষিকাকে কুপ্রস্তাব, বাড়ি-গাড়িও কিনে দিতে চেয়েছিলেন প্রধানশিক্ষক | স্কুল নিউজ

শিক্ষিকাকে কুপ্রস্তাব, বাড়ি-গাড়িও কিনে দিতে চেয়েছিলেন প্রধানশিক্ষক

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ‘দেবী শুলটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের’ প্রধানশিক্ষক আবুল আজাদের বিরুদ্ধে একই বিদ্যালয়ের নারী সহকারী শিক্ষককে উত্যক্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী। চরম মানসিক অশান্তির মধ্যেও বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা চালিয়ে যেতে

দৈনিক শিক্ষাডটকম, নড়াইল : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ‘দেবী শুলটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের’ প্রধানশিক্ষক আবুল আজাদের বিরুদ্ধে একই বিদ্যালয়ের নারী সহকারী শিক্ষককে উত্যক্ত করার অভিযোগ  পাওয়া গেছে। এ বিষয় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী। চরম মানসিক অশান্তির মধ্যেও বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা চালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি।

ওই শিকার নারী শিক্ষক জানান, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে দেবী শুলটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন তিনি। প্রধানশিক্ষক আবুল আজাদ প্রথম দিকে আমাকে ফোন দিয়ে আন-অফিসিয়ালি কথা বলতো। দিন-রাতে ২০ থেকে ৩০ বার ফোন দিতেন। নিষেধ করলেও তিনি শুনতেন না। প্রধানশিক্ষকের নম্বর ব্লক করলেও তিনি অন্য নম্বর দিয়ে ফোন করতেন। বিদ্যালয়ে গেলে তিনি নানাভাবে উত্যক্ত করেন, কুরুচিপূর্ণ কথা বলতেন। বাসায় ফিরে গেলেও ফোনে বিরক্ত করে নানা অশ্লীল প্রস্তাব দিতেন। এক পর্যায়ে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন এবং জমি-বাড়ি, গাড়ি কিনে দেয়ার প্রলোভন দেন। 

বিষয়টি সহকারী অন্য শিক্ষকদের জানালে তারা প্রধানশিক্ষককে থেমে যেতে বলেন। কিন্তু  স্যার কারো কথা শোনেননি। উপায় না পেয়ে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি প্রধানশিক্ষকের উত্যক্তের বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। শিক্ষা অফিস তদন্ত করেছে। কিন্তু এখনো ভোগান্তি কমেনি।   

প্রধানশিক্ষক আবুল আজাদ অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধ এসব চক্রান্ত করা হচ্ছে। বিদ্যালয়ের কমিটির সভাপতি শাহ নেওয়াজ  জানান, এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। বিষয়টি আমাদের এখতিয়ারের বাহিরে চলে গেছে। 

লোহাগড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাহবুবুর রহমান জানান, তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা শিক্ষা প্রাথমিক অফিসে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।

নড়াইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ২৭ মার্চ বিভাগীয় উপপরিচালক (প্রাথমিক শিক্ষা) বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন পাঠিয়েছি।