খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর ডিগ্রি কলেজে এবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়নি। খুলনা জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও অধ্যক্ষ এস এম জুলফিকার আলী জুলুর গাফিলতিতে দিবসটি পালিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন কলেজর শিক্ষক ও স্থানীয়রা। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এলাকার শিক্ষানুরাগীদের আন্তরিক সহযোগিতায় গড়ে ওঠে চুকনগর ডিগ্রি কলেজ। সেই থেকে প্রতিষ্ঠানে কোন জাতীয় দিবস পালন থেকে বিরত থাকতে দেখা যায়নি। কিন্তু এবার রহস্যজনকভাবে কলেজটিতে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চুকনগর কলেজের একজন শিক্ষক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, অধ্যক্ষ উদ্যোগ নিলে আমরা সহযোগিতা করতাম। কিন্তু কলেজ ছুটি হওয়ার কারণে দিবসটি আর পালন করা হয়নি। চরম ভুল হয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ ও খুলনা জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস এম জুলফিকার আলী জুলু দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আসলে কলেজ বন্ধ থাকায় দিবসটি পালন করা সম্ভব হয়নি। আগামি ২৪ আগস্ট কলেজ খুলবে। খোলার পর ৩১ আগস্টের মধ্যে দিবসটি পালন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। তিনি আরও বলেন, ‘সময় আছে, ৩১ আগস্টের মধ্যে দিবসটি পালন করা যাবে’।
চুকনগর কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ও খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম শফিকুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, চুকনগর ডিগ্রি কলেজে এই প্রথমবারের মত বঙ্গবন্ধুর শাহাদত বাষির্কী পালন করা হয়নি। এতে কলেজের ভাবমুর্তি ক্ষু্ণ্ন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভুলণ্ঠিত হয়েছে। আমি অধ্যক্ষ হিসেবে কলেজে জাতীয় দিবস পালনের ধারা অব্যাহত রেখেছিলাম। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত বলে আমি মনে করি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহনাজ বেগম এ বিষয়ে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রত্যেক স্কুল, মাদরাসা, কলেজসহ সব প্রতিষ্ঠানে যথাযথ মর্যাদার সাথে দিবসটি পালন জরুরি। এ প্রতিষ্ঠানটিতে দিবসটি পালন করা না হলে, তদন্তপূর্বক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।